সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মসনদে বসতে না বসতেই একের পর এক খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত নিয়েই চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শত্রু দেশগুলির উপর মোটা অঙ্কের শুল্ক চাপিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ রাষ্ট্রকে চুক্তি করতে 'চাপ', মনপসন্দ না হলে প্রশাসনের আধিকারিকদের বিনা বাক্যব্যয়ে ছাঁটাই - কী না হচ্ছে ট্রাম্প জমানায়! এবার তাঁর রোষানলে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। রেগেমেগে সেখানকার প্রধান বিজ্ঞানী-সহ শীর্ষস্তরের আরও বেশ কয়েকজনকে চাকরি থেকে বাদই দিয়ে দিলেন! শাস্তির খাঁড়া ঝুলছে আধিকারিকের কপালেও।
নাসার প্রধান বিজ্ঞানী ক্যাথরিন কেলভিন মূলত পরিবেশবিদ। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করেন তিনি। বিয়াল্লিশ বছরের ক্যাথরিন ২০২২ সালে অর্থাৎ বাইডেন জমানায় নাসার সিনিয়র পরিবেশ বিজ্ঞানী হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হন। জলবায়ু বদল সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি, সমাধানের রাস্তা বের করার ভার ন্যস্ত ছিল তাঁর উপর। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি পরিবেশ সম্মেলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন ক্যাথরিন। রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ এবং আলোচনাসভায় তাঁর গুরুত্ব বাড়ছিল। এহেন সুন্দর কেরিয়ারের অধিকারী ক্যাথরিন কেলভিন আচমকাই যেন ট্রাম্পের রোষানলে পড়লেন। প্রেসিডেন্টের পরামর্শক্রমে নাসা প্রশাসন তাঁর চাকরি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর। এছাড়া চাকরি ছাঁটাইয়ের তালিকায় নাসার আরও বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী রয়েছেন। সকলেই তাই তটস্থ।
পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে ট্রাম্পের বিশেষ মাথাব্যথা নেই কখনও। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে বাইডেন আমলে বিশ্ব পরিবেশ সুরক্ষা স্বাক্ষরিত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্যারিস চুক্তি বাতিল করতে দ্বিধা করেননি তিনি। এবার তাঁর সাফ বক্তব্য, পরিবেশ গবেষণায় বড্ড খরচ করছে নাসা। এখনই আর এসব দরকার নেই। খরচ কমানো জরুরি। তাই এতজন বিজ্ঞানীরও দরকার নেই। মোটকথা, বিজ্ঞান ও গবেষণা খাতে ব্যয় সংকোচন চান ট্রাম্প। ফলে কোপ পড়ল বিজ্ঞানীদের চাকরিতে। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
