সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’দেশের মধ্যে চলতে থাকা সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে তুরস্কে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বসেছিলেন পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা। কিন্তু সূত্রের খবর, সেই আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, যদি শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়, তাহলে পাকিস্তান সরাসরি আফগানিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে যাবে। এবার কি তাহলে দু’দেশের মধ্যে সংঘাতের ঝাঁজ আরও বাড়তে চলেছে? পাকিস্তান কি সরাসরি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে? এই প্রশ্নগুলিই এখন উঠতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে দু’দেশের সংবাদমাধ্যমই শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আনে। আফগান সংবাদমাধ্যম আরটিএ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের তরফে গঠনমূলক আলোচনা করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু তা-ও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। অন্যদিকে, শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় কাবুলের দিকেই আঙুল তুলেছে পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম। তারা জানিয়েছে, আফগান প্রতিনিধিদের একগুঁয়ে এবং গা-ছাড়া মনোভাবের কারণেই এই শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। আগামী দিনে ফের শান্তি আলোচনায় বসা হবে কি না, তা আফগান নেতার মনোভাবের উপরই নির্ভর করছে।
সম্প্রতি কাতারের রাজধানি দোহায় প্রথম দফার শান্তি আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। কাতারের পাশাপাশি মধ্যস্থতার দায়িত্বে ছিল তুরস্কও। কাতারের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। উভয়পক্ষই স্থায়ী শান্তি এবং সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু পরে জানা যায়, আদতে দু’দেশের মধ্যে কোনও রফাসূত্র মেলেনি। তাই গত শনিবার তুরস্কে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বসেন দু’দেশের প্রতিনিধিরা। কিন্তু মঙ্গলবার জানা গেল, সেই শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার নেয়। সীমান্তে দুই দেশের গুলির লড়াইয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও প্রচুর। এরপর পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে ৪৮ ঘণ্টার সংঘর্ষবিরতি হয়। সেই মেয়াদ শেষের আগেই ঘোষণা করা হয় দোহায় আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে। তবে তার আগেই আফগানিস্তানে ফের হামলা চালায় পাকিস্তান। পাক আক্রমণে মৃত্যু হয় তিন ক্রিকেটার-সহ অন্তত আট জনের।
