shono
Advertisement

ম্যাক্রোঁকে ‘নাৎসি’বলে কটাক্ষ, চাপের মুখে মন্তব্য প্রত্যাহার পাকিস্তানি মন্ত্রীর

মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র বিতর্কের পর থেকেই ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে ইমরান খান প্রশাসন।
Posted: 09:18 AM Nov 23, 2020Updated: 09:18 AM Nov 23, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনে উইঘুর নির্যাতন নিয়ে মৌন মুসলমানদের স্বঘোষিত ধ্বজাধারী পাকিস্তান (Pakistan)। কিন্তু ফ্রান্সে হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র বিতর্কের পর থেকেই সুর চড়িয়েছে ইমরান খান প্রশাসন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে ‘নাৎসি’ বলে কটাক্ষ করেন পাক মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মাজারি। তারপরই প্যারিসের কড়া জবাবে চাপে পড়ে মন্তব্য প্রত্যাহার করেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডে বাড়ছে না লকডাউনের মেয়াদ, এলাকাভিত্তিক বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত জনসনের]

বিগত মাসখানেক ধরে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিতর্কে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে পাকিস্তান। প্যারিসে মুসলিম মৌলবাদীর হাতে শিক্ষক হত্যার নিন্দা না করে, উলটে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। পালটা দিয়েছে প্যারিসও। ফলে রীতিমতো কূটনৈতিক সংঘাতে জড়িয়েছে দুই দেশ। এবার পারদ আরও চড়িয়ে মাজারি শনিবার টুইট করেন, ‘ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরোঁ ফ্রান্সে বসবাস করা মুসলিমদের ঘৃণা করছেন এবং উনি এমন ব্যবহার করছেন যেটা হিটলার ইহুদিদের সঙ্গে করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানিতে ইহুদিদের যা দুরবস্থা ছিল সেরকম ফ্রান্সে এখন দুরবস্থা হয়েছে মুসলিমদের।’ ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রক ওই মন্তব্যকে ‘জাতিবিদ্বেষী, উসকানিমূলক এবং অপমানজনক, কদর্য’ বলে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ফ্রান্স জানিয়েছে, পাক মন্ত্রী যেন তাঁর মন্তব্য ফিরিয়ে নেন। নাহলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেবে ফ্রান্স (France)। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যেন বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। উদার গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে ফ্রান্স সব ধর্ম ও মতবাদকে সম্মান করে। এই অপবাদ ফ্রান্স বরদাস্ত করবে না। তারপরই চাপে পড়ে নিজের টুইটটি মুছে ফেলেন মাজারি।

সম্প্রতি মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র বিতর্কে ফরাসি পণ্য বয়কট করার দাবি উঠেছে পাকিস্তানে। মৌলবাদীদের বিশাল মিছিলও হয়েছে ইসলামাবাদে। তারপরই ইমরান খান প্রশাসনকে শিক্ষা দিতে ফ্রান্স জানিয়েছে, মিরাজ (Mirage) যুদ্ধবিমান, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং অগস্টা ৯০বি ক্লাস (Agosta 90B class) সাবমেরিন আধুনিকীকরণ বা আরও উন্নত করতে আর কোনওরকম সাহায্য করা হবে না। গত কয়েক দশকে ফ্রান্সের দাসাউ অ্যাভিয়েশনের কাছ থেকে একাধিক মিরাজ যুদ্ধবিমান কিনেছে পাকিস্তান। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০টি মিরাজ। এর মধ্যে কিছু মিরাজ ৩ এবং বাকিগুলো মিরাজ ৫ যুদ্ধবিমান। যদিও এর অর্ধেকই এখন ব্যবহারযোগ্য। তা সত্ত্বেও বিমানগুলোকে আর উন্নত করতে সাহায্য করবে না ফ্রান্স। আর সেটাই ইসলামাবাদকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ফ্রান্স–ইটালি সহযোগে তৈরি যে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাকিস্তান ব্যবহার করে, সেটির আপগ্রেডেও স্পষ্ট ‘‌না’‌ করে দিয়েছে ফ্রান্স।

[আরও পড়ুন: অশান্তি পাকানোর ছকে ডোকলামে ফের রাস্তা বানাচ্ছে চিন! প্রমাণ মিলল উপগ্রহ চিত্রে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement