সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়তে থাকা সখ্যের মাঝেই হঠাৎ ছন্দপতন। সরাসরি ট্রাম্পের বিরোধিতা পাকিস্তানের। পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করছে না পাকিস্তান। ট্রাম্পের দাবি নস্যাৎ করে জানিয়ে দিল পাক নেতৃত্ব। এর আগে ঠিক একই কাজ করেছে চিন। ট্রাম্পের দাবি পত্রপাঠ নাকচ করে দিয়ে চিন জানিয়ে দেয়, 'চিন দায়িত্ববান দেশ'। পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে প্রথমে ব্যবহার না করার নীতি মেনে চলছে তারা।
গত সপ্তাহেই একটি সংবাদ মাধ্যমের অনুষ্ঠানে ট্রাম্প দাবি করেন পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করছে পাকিস্তান। সিটিবিটি স্বাক্ষর না করলেও পারমাণবিক পরীক্ষা করছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তান জানিয়েছে, "পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা ফের শুরু করবে না পাকিস্তান।" তাঁদের আরও দাবি, "পাকিস্তান প্রথম দেশ নয় যারা পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেছিল। পাকিস্তান প্রথম দেশ হবে না যারা ফের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।"
সম্প্রতি পাক-মার্কিন বন্ধুত্ব নতুন দিশা দেখেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! এই অবস্থায় যখন দুই দেশ নিজেদের সম্পর্কে গতি আনার চেষ্টা করছে তখনই এমন ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিক অতীতে, ট্রাম্পের বিরোধিতা করতে দেখা যায়নি পাকিস্তানকে। সেই কারণেই, এই বিরোধিতা রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
রবিবার সন্ধ্যায় ভারতকে 'সতর্ক' করেন ট্রাম্প। শুধু আমেরিকা নয় পাকিস্তান-চিনও পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করছে। তলে তলে পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান! এরপরে অনেকেই দাবি করেন আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পিছনের মূল কারণ মাটির নিচে পাক পরমাণু বোমা পরীক্ষা। ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তিনি যুদ্ধ বন্ধ না করলে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারত।
