সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের পর বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে ৩৩টি দেশে সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ভারত। পালটা বিলাবল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বে একটি পাক প্রতিনিধিদল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছে। আমেরিকা সফর সেরে ব্রিটেনে পৌঁছেছে দলটি। লন্ডনে পৌঁছে তাঁরা ভারতের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে আন্তর্জাতিক স্তরে মধ্যস্থতা চাইল। কাশ্মীর সমস্যার পাশাপাশি সিন্ধুর জল নিয়েও বিভিন্ন দেশের মধ্যস্তায় ভারতের সঙ্গে আলোচনা দাবি জানাল পাকিস্তানের প্রতিনিধিদল।
কাঙ্খিতভাবেই ভারতের বিপরীত অবস্থান নিয়ে ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে পাক প্রতিনিধি দল। ওই দলের এক সদস্য খুররম দস্তগির বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংঘর্ষবিরতির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করার পরেই আমরা প্রতিরোধের মুখে পড়ি। বলা হয় আর মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমরা আমেরিকার নাগরিকদের বোঝাই যে, আরও মধ্যস্থতা প্রয়োজন।"
ইসলামাবাদের প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত শেরি রহমানের দাবি, আমেরিকার মানুষকে তাঁরা বোঝাতে পেরেছেন যে জল কখনও যুদ্ধের অস্ত্র হতে পারে না। ভারতের কাশ্মীরকে ‘গাজার পর বিশ্বের বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগার’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এইসঙ্গে ফের পরমাণু জুজু দেখাতে ভোলেনি শাহবাজ শরিফ সরকারের প্রতিনিধিরা। তাঁদের বক্তব্য, দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি কখনই ভালো নয়।
উল্লেখ্য, যুদ্ধে ভারতীয় সেনার মার খেয়ে সংঘর্ষবিরতির জন্য অনুরোধ করে পাকিস্তান। এরপরেই সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দিল্লি। কথা হয়েছে সরসরি। কেউ মধ্যস্থতা করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে বারবার জানিয়ে দিয়েছে ভারত। অন্যদিকে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, একসঙ্গে জল ও রক্ত বইতে পারে না। পাকিস্তান জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করলে তবেই দুই দেশের মধ্যে শান্তিপ্রক্রিয়া এগোতে পারে।
