সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশ মুসলিম বিশ্বে কোণঠাসা হচ্ছে পাকিস্তান। ইসলামিক দেশগুলির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও ভারতের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক প্রয়াস, দুইয়ের মিশ্রণে বেকায়দায় পড়েছে ইসলামাবাদ। ফের একবার দেশটিকে ধাক্কা দিয়ে মুসলিম দেশগুলির সবথেকে বড় সংগঠন Organisation of Islamic Cooperation (OIC)-তে উঠবে না কাশ্মীর প্রসঙ্গ বলে খবর।
[আরও পড়ুন: স্পষ্ট জঙ্গিযোগ! ২৬/১১ মুম্বই হামলায় খতম লস্কর সদস্যদের স্মৃতিতে প্রার্থনাসভা পাকিস্তানে]
শুক্রবার অর্থাৎ আজ থেকে নাইজেরের রাজধানী নিয়ামে শহরে অনুষ্ঠিত OIC বৈঠকে পাকিস্তানের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও আলোচ্যসূচিতে নেই কাশ্মীর। পাকিস্তানের অনুরোধে আমল দেয়নি সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশ, যাদের প্রভাব এই মুহূর্তে OIC-তে সবচেয়ে বেশি। ইংরাজি ও আরবিতে OIC-র পক্ষ থেকে যে বিবৃতিটি দেওয়া হয়েছে, তাতে লক্ষ্যণীয়ভাবে কাশ্মীরের কোনও উল্লেখ নেই। সেখানে বলা হয়েছে, শান্তি এবং উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হওয়া আসন্ন বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু হতে চলেছে। পাশাপাশি, প্যালেস্তাইন পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যাও রয়েছে আলোচনার তালিকায়। তবে মুখরক্ষায় নানা বাহানা দিচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরীর দাবি, OIC’র আলোচনার তালিকায় কাশ্মীর স্থায়ী বিষয়। তিনি আরও বলেন, “আমরা আশা করছি কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরা হবে বৈঠকে।”
বিশ্লেষকদের মতে, ৫৬ সদস্যের OIC-র প্রধান দুই সদস্য সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কে বরফ জমছে। পাশাপাশি, পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে দৌত্য বাড়াচ্ছে ভারত। যা পাকিস্তানের কাছে রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করার মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও প্রতিবাদ জানায়নি রিযাধ। উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের দাবি মতো কোনও বৈঠক ডাকতে রাজি হয়নি OIC। ফলে রীতিমতো চটে লাল হয়ে গিয়েছিল ইসলামাবাদ। কার্যোদ্ধার না হওয়ায়, OIC থেকে বেরিয়ে অন্য জায়গায় দরবার করার হুমকিও দেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। তারপরই, ইমরান প্রশাসনের উপর চাপ বাড়িয়ে ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ ফেরত চেয়েছে সৌদি আরব।