সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বলে ভূতের মুখে রাম নাম! পাক সেনার জনসংযোগ দপ্তরের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরী শনিবার দাবি করলেন, "পাকিস্তান হিংসাত্মক দেশ নয়। তারা হিংসা চায় না। বরং শান্তি চায়। সেই কারণেই আমেরিকার মধ্যস্ততায় সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসলামাবাদ।" পহলেগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর নতুন করে বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসাবে তুলে ধরছে দিল্লি, ঠিক সেই সময় উলটো মন্তব্য করলেন পাক সেনার প্রতিনিধি। তিনি দাবি করলেন,পাকিস্তানের মানুষের মনোভাব আমেরিকা বুঝতে পারে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরীর আজব দাবি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন-এ। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছিল ইসলামাবাদ। নিরেপক্ষ তদন্তের দাবি করেছিল। যদিও ঘটনা পরম্পরায় দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। শেষ পর্যন্ত আমেরিকার মধ্যস্ততায় ভারত-পাক সংঘর্ষবিরোধী হয়। এই প্রসঙ্গে আহমেদ বলেন, "আমরা হিংসাত্মক দেশ নই। আমরা একটি দায়িত্বশীল দেশ। আমরা শান্তি চাই। শান্তি স্থাপনই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।" আমেরিকার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "আমেরিকার মতো মহান এবং সংবেদনশীল দেশই পাকিস্তানের মানুষের মনোভাব ভালো বুঝতে পারে।"
এখানেই না থেমে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ভারতের ঠিক বিপরীত দাবি করে বসেন আহমেদ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র "ব্যক্তিগতভাবে সংঘর্ষবিরতির জন্য অনুরোধ করেছিলন।" তবে 'মধ্যস্ততাকারী' আমেরিকাকে অনুরোধ করা হয়েছিল নাকি সরাসরি পাকিস্তানকে, এই বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির কথা সমাজমাধ্যমে প্রথম প্রকাশ করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিক বার তিনি এই বিষয়ে কৃতিত্ব দাবি করেছেন। যদিও ভারত প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে যে যুদ্ধে ব্যাপক মার খায় পাক সেনা। বাধ্য হয়ে পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতের ডিজিএমওকে হটলাইনে সংঘর্ষবিরতির অনুরোধ করেন। নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে আলোচনার পর যা মেনে নেয় ভারত।
