সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সত্যকে যতই চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলুক যে কোনও পথ ধরে সে ঠিক সামনে আসবেই। পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে এবার নিজেদের মন্তব্যেই বিপাকে পড়ল পাকিস্তান। 'অধিকৃত কাশ্মীর পাকিস্তানের অংশ নয়', সম্প্রতি এক মামলায় ইসলামাবাদ হাই কোর্টে এ কথা স্বীকার করে নিল পাক সরকার। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের রাজনীতি যখন সরগরম ঠিক সেই সময় শাহবাজ শরিফ সরকারের এহেন বার্তায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল শুরু হয়েছে।
অস্বাভাবিক হারে কর বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি-সহ একাধিক বিষয়ের বিরুদ্ধে পাক সরকারের (Pakistan Govt) বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) নাগরিকরা। বিক্ষোভ থামাতে নাজেহাল অবস্থা পাক সরকারের। এই পরিস্থিতিতে চলছে ব্যাপক ধড়পাকড়। অধিকৃত কাশ্মীরে জেলবন্দী হয়েছেন সাংবাদিক তথা কাশ্মীরী কবি আহমেদ ফারহাদ শাহ। এই সংক্রান্ত এক মামলায় ফারহাদকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এর প্রেক্ষিতেই পাক সরকারের আইনজীবী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, 'ফারহাদ বর্তমানে কাশ্মীরের (অধিকৃত কাশ্মীর) পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। যা বৈদেশিক অঞ্চলভুক্ত। ওই অঞ্চল কোনওভাবেই পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার আওতায় আসে না।'
[আরও পড়ুন: ‘হার নিশ্চিত বুঝেই পালাচ্ছে’, বিতর্কে অংশ না নেওয়ায় কংগ্রেসকে কটাক্ষ শাহের]
পাক সরকারের দাবি, ওই অঞ্চলে পাক সরকারের সঙ্গে আলোচনাভুক্ত একটি সরকার চলে। তবে সেখানে পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা কোনওভাবেই লাগু হয় না। এই প্রেক্ষিতেই পালটা আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়, অধিকৃত কাশ্মীর যদি পাকিস্তানের অংশ না হয় তাহলে কীভাবে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এবং পাকিস্তানি রেঞ্জার্স ওই এলাকায় প্রবেশ করল? তার অবশ্য কোনও উত্তর দিতে পারেনি পাক সরকার। এদিকে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তোলপাড় শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, পাকিস্তানের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের সরব হতে পারে ভারত। কারণ ভারতের তরফে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে বারবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।
[আরও পড়ুন: এবার জগন্নাথের মাসির বাড়ি! শনি সকালে পুরীর গুণ্ডিচা মন্দিরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড]
উল্লেখ্য, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারেও বারবার এই ইস্যুতে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে শাসকদল বিজেপিকে। খোদ প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে মুখ না খুললেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুধু করে বিজেপির ছোট বড় নেতারা দাবি করেছেন, তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকার ক্ষমতায় এলে ৬ মাসের মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ হবে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই পাক সরকারের নয়া দাবি ভারতের হাতে নয়া অস্ত্র বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।