সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের দুর্দশা দিনদিন বাড়ছে। আকাশ ছুঁয়েছে দ্রব্যমূল্য। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের শর্তপূরণ করতে ব্য়াপক হারে কর চাপিয়েছে সে দেশের সরকারও। সবমিলিয়ে আমজনতার ক্রয় ক্ষমতা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। যার ফল ভুগছে সে দেশের অর্থনীতি। পাক সরকারির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সে দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার গত ৫ দশকের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। মার্চ মাসে পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৩৭ শতাংশ।
পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে পাকিস্তানের। চাহিদা মেটাতে সরকারির বিনামূল্য়ের রেশনের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে সেদেশের জনতাকে। যার জেরে সে দেশের রাস্তায় চুরি-ছিনতাই-পকেটমারির মতো ঘটনা ঘটছে। আবার বিনামূল্যে রেশন আনতে গিয়ে হুড়োহুড়ির চোটে পদপিষ্ট হয়ে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। একের পর এক এধরনের ঘটনায় পাকিস্তানে চাপ বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: ২-৮ এপ্রিলের Horoscope: আয় বাড়বে নাকি সঞ্চয়? নতুন অর্থবর্ষের প্রথম সপ্তাহে কী রয়েছে ভাগ্যে?]
পাক সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে মুদ্রাস্ফিতী বৃদ্ধির হার ৩.৭২ শতাংশ। গত বছর এই সময় পাকিস্তানের গড় মুদ্রাস্ফিতীর হার ছিল ২৭.২৬ শতাংশ। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই ভয়ানক মুদ্রাস্ফিতীর মুখে পড়বে সে দেশে। ইতিমধ্যে গ্রামাঞ্চলে খাবারের দামের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফিতীর হার বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। সুরা জাতীয় পানীয়র দাম বেড়েছে অন্তত ৪০ শতাংশ। তামাকজাত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে অন্তত ১৪০ শতাংশ।