সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুরস্কে তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর এবার যুদ্ধের জন্য ভারতকে দায়ী করল পাকিস্তান। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ অভিযোগ করলেন, ভারতের হাতের পুতুন হয়ে নাচছে আফগানিস্তান। শুধু তাই নয়, তালিবানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে স্তিনি জানালেন, ইসলামাবাদের উপর কোনওরকম হামলা হলে তার ৫০ গুণ প্রত্যাঘাত ফেরত আসবে।
পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন খবর, আসিফ অভিযোগ করেছেন, কাবুল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ভারত থেকে। তাঁর কথায়, "কাবুলের লোকজন দিল্লির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। আসলে পশ্চিম সীমান্তে হারের জেরে প্রতিশোধস্পৃহায় আফগানিস্তানকে ব্যবহার করছে ভারত।" শুধু তাই নয়, তুরস্কে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার নেপথ্যেও ভারতের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন আসিফ। তিনি বলেন, "যখনই আলোচনার মাধ্যমে আমরা চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছি, তখন ওখান থেকে প্রতিনিধিরা কাবুলকে রিপোর্ট করছে। সেখান থেকেই হস্তক্ষেপ করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত চুক্তি বাতিল হয়।"
এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে পাক মন্ত্রী বলেন, "যদি আফগানিস্তান পাকিস্তানের দিকে খারাপ চোখে তাকায় তবে সে চোখ উপড়ে নেওয়া হবে। কোনও হামলা হবে তার ৫০ গুণ ফেরত দেওয়া হবে। এতে কোনও সন্দেহ নেই যে পাকিস্তানে সন্ত্রাসের জন্য কাবুল দায়ী। যদি আলোচনায় কোনও ফল না মেলে তবে অবশ্যই আফগানিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ হবে।" তবে পাক মন্ত্রীর তরফে এই যুদ্ধের জন্য ভারতের ইন্ধনের অভিযোগ তোলা হলেও শুরুতেই সে অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে আফগানিস্তান। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আফগানিস্তান নিজের লড়াই নিজে লড়তে পারে। যদিও ভারতের তরফে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে দু’দেশের সংবাদমাধ্যমই শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আনে। আফগান সংবাদমাধ্যম আরটিএ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের তরফে গঠনমূলক আলোচনা করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু তা-ও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। কাতারের রাজধানী দোহায় প্রথম দফার শান্তি আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। কাতারের পাশাপাশি মধ্যস্থতার দায়িত্বে ছিল তুরস্কও। কাতারের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। উভয়পক্ষই স্থায়ী শান্তি এবং সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু পরে জানা যায়, আদতে দু’দেশের মধ্যে কোনও রফাসূত্র মেলেনি। তাই গত শনিবার তুরস্কে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বসেন দু’দেশের প্রতিনিধিরা। কিন্তু মঙ্গলবার জানা গেল, সেই শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।
