সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনে হঠাৎই দামি হচ্ছে কন্ডোম। কেবল কন্ডোমই নয়, সব ধরনের গর্ভনিরোধক ওষুধেই বসছে ১৩ শতাংশ ভ্যাট। ১৯৯৩ সাল থেকে সেদেশে করমুক্ত ছিল গর্ভনিরোধক। হঠাৎ একধাক্কায় এত কর যুক্ত করার কী কারণ? এর পিছনে উদ্দেশ্য একটাই। জন্মহার বাড়ানো।
বর্তমানে জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে ছাপিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে ভারত। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে চিনে জন্মহারের সংখ্যা যে জায়গায় রয়েছে, সেই ভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে চিনের জনসংখ্যা ১৩০ কোটিতে দাঁড়াবে।
প্রসঙ্গত, চিন থেকে কার্যত হারিয়ে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। তাঁর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতি-সহ একাধিক ক্ষেত্রে। তাই নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে নতুন করে পরিকল্পনা নিচ্ছে প্রশাসন। কেবলমাত্র যুগল নয়, সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সঙ্গীহীনদেরও। প্রশাসনের কাছে রেজিস্টার করে সন্তান দত্তক নিতে পারেন তাঁরা। তবুও জনসংখ্যা বাড়ছে না। ফলে ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ। এরই মধ্যে সন্তান নেওয়ার জন্য দম্পত্তিদের উৎসাহিত করতে আর্থিক সাহায্যের পরিকল্পনাও করছে ড্রাগনের দেশ। এবার নয়া পদক্ষেপ বেজিংয়ের।
এর আগে গত জুলাইয়ে জানা যায়, সন্তান ধারণে উৎসাহিত করতে নগদ অর্থ প্রদান করার পরিকল্পনা করছে শি জিনপিংয়ের সরকার। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বা তার পরবর্তী সময়ে সে দেশে জন্ম নেওয়া শিশুর ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর করার কথা জানা যায়।
প্রসঙ্গত, এক সন্তান নীতি কার্যকর করতে এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে সক্রিয় প্রচারের লক্ষ্যেই গর্ভনিরোধক পণ্যকে কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। এবার ফের চাপানো হল কর। এদিকে এভাবে ভ্যাট অপসারণ যে সময়ে হল তখন চিনে লাফিয়ে বাড়ছে এইচআইভি সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা। ২০০২ সালের তুলনায় ২০২১ সালে এইচআইভি/এইডস আক্রান্তের ঘটনা প্রতি ১০০,০০০ জনে ০.৩৭ থেকে ৮.৪১ জনে নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
