সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেজিংয়ে ভারতীয় দূতাবাসে বসল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি। মূর্তিটির স্রষ্টা চিনের প্রখ্যাত শিল্পী ইউয়ান শিকুন। শনিবার দূতাবাসে এই উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘সঙ্গমম’ নামে একটি আলোচনাসভাও। আর সেখানেই রবীন্দ্র-মূর্তির উন্মোচন করেন চিনে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রদীপ রাওয়াত।
রাওয়াত অনুষ্ঠানে বলেন, এক শতক আগে রবীন্দ্রনাথের চিন-সফর দুই দেশের জন্যই একটি মাইলফলক ছিল। কবিগুরুর মানবিকতার বার্তা আজও অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে দুই দেশকে। এর পাশাপাশি নিজের বক্তব্যে রাওয়াত চিনা কবি শু ঝিমো এবং সমাজকর্মী লিয়াং কিচাওয়ের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের মৈত্রীর সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, মোট তিন বার চিনে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। চিনে তাঁর জনপ্রিয়তা এবং পরিচিতি নেহাত কম নয়। ২০০৯ সালে চিনে একটি সমীক্ষা হয়েছিল, যেখানে চিনের অধুনিকীকরণের জন্যে যে ৫০ জন বিদেশি নাগরিককে কৃতিত্ব দেওয়া হয়, সেই তালিকায় অন্যতম নাম ছিল রবীন্দ্রনাথের এবং ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর। অন্যদিকে আবার চিনকে ভারতের ‘নিকটাত্মীয়’ বলে মনে করতেন কবিগুরুও। তাঁর ধারণা ছিল, সভ্যতার দিক থেকে চিন এবং ভারতের মূল্যবোধের বহুক্ষেত্রেই মিল রয়েছে। এমনকি, দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা ও জ্ঞানের সুষম আদানপ্রদান ঘটানোর জন্য বিশ্বভারতীতে ‘চিনা ভবন’ও গড়েছিলেন তিনি।
