সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর একমাসও বাকি নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের। কমলা হ্যারিস নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প, কে মসনদে বসবেন তা জানা যাবে নভেম্বরের শুরুতেই। কিন্তু এর মধ্যেই দেখা যাচ্ছে, কমলার প্রচারের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তরফে আশ্চর্য নিরাসক্তি! এমনটাও দাবি, বর্ষীয়ান ডেমোক্র্যাট রীতিমতো 'ষড়যন্ত্র' করছেন কমলার প্রচারের ক্ষেত্রে!
নির্বাচনে জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করে ডেমোক্র্যাটরা। কিন্তু ৮১ বছর বয়সি নেতা কি আগামী চার বছর ধরে আমেরিকাকে পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য শারীরিকভাবে সক্ষম? মার্কিন রাজনীতিতে সেই প্রশ্ন ছিলই। এহেন পরিস্থিতিতে তৃতীয়বারের জন্য কোভিড আক্রান্ত হন বাইডেন। তার পরেই বর্ষীয়ান ডেমোক্র্যাট নেতা নির্বাচন থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করেন। নিজের উত্তরসূরি হিসাবে বার বার কমলা হ্যারিসের নাম জানিয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কি আদৌ তিনি নিজে মন থেকে মানতে পেরেছিলেন? প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। আর এই প্রশ্ন উঠছে তাঁর সাম্প্রতিক আচরণ থেকেই।
কমলার প্রচারসভায় বাইডেনকে সেভাবে দেখাই যাচ্ছে না। অথচ ৯/১১ বর্ষপূর্তিতে 'ট্রাম্প ২০২৪' লেখা টুপি পরে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। অন্যদিকে হারিকেন ঝড় মোকাবিলায় ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছে ডেমোক্র্যাট নেতাকে। অথচ কমলা হ্যারিসের ফোন না ধরায় তিনিই ভর্ৎসিত হয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠছে, কমলার আচরণের উলটো প্রতিক্রিয়া দেখানোর পিছনে কি নেত্রীর প্রতি বাইডেনের বিরূপতাই আসল কারণ?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাইডেনের এহেন অসহযোগিতার পিছনে রয়েছে 'পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র'। ট্রাম্পের নাম লেখা টুপি পরে বাইডেন সম্ভবত বার্তা দিতে চাইছেন এবারের নির্বাচনে তিনি রিপাবলিকান নেতার প্রতিই সমর্থন করবেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, বিষয়টা এমনও নয়। বাইডেন ভিতরে ভিতরে যতই 'প্রতিহিংসা' পোষণ করুন, ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন না তিনি। তবে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে তাঁকে প্রেসিডেন্টের দৌড় থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণে কমলা হারলে তিনি দুঃখিত হবেন না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।