সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বরাবরই তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রাজনৈতিক মঞ্চের যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ এবার পাশাপাশি। শুক্রবার ওভাল অফিসে বৈঠক করলেন নিউ ইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই বৈঠকেই এক সাংবাদিকের খোঁচা দেওয়া প্রশ্নে সরস মুহূর্ত তৈরি হল।
মামদানি বারবার ট্রাম্পকে 'ফ্যাসিস্ট' বলে খোঁচা দিয়েছেন। এবার তাঁরা মুখোমুখি হতেই সেই প্রসঙ্গ তোলেন এক সাংবাদিক। জানতে চান, মামদানি কি এখনও বিশ্বাস করেন ট্রাম্প আসলে ফ্যাসিবাদী তথা স্বৈরাচারী। ৩৪ বছর বয়সি নেতাকে বলতে শোনা যায়, ''আমি এই বিষয়ে আগেই কথা বলেছি।'' তাঁর চোখেমুখে একটা অস্বস্তি দেখা যাচ্ছিল। এরপরই ট্রাম্প তাঁকে বলেন, ''আরে ঠিক আছে। আপনি এমনটা বলতেই পারেন। সেটাই সহজ। ব্যাখ্যা করার থেকে বলে দেওয়াটা সহজ। আমি কিছুই মনে করছি না।'' বলতে বলতে মামদানির হাতে খোঁচা মারেন ট্রাম্প। মামদানিও হেসে ওঠেন।
ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই মুহূর্ত। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, 'মার্কিন প্রেসিডেন্টের বহু ভালো ভালো মুহূর্ত রয়েছে। কিন্তু এটা সর্বকালের সেরা।'
প্রথম থেকেই মামদানির নীতির সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। ৪ নভেম্বরের নির্বাচনের ঠিক আগে নিউ ইয়র্কের বাসিন্দাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, মামদানির জয় নিউ ইয়র্কের জন্য 'সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয়' হবে। যদিও সব বিরোধিতা উপেক্ষা করে বিপুল জয় পান মামদানি। এরপরই আক্ষেপের সুর শোনা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলায়। তিনি বলেন, “আমেরিকা কিছুটা সার্বভৌমত্ব হারাল।” অন্যদিকে, জয়ের মঞ্চ থেকেই ট্রাম্পকে একহাত নেন মামদানি। ট্রাম্পকে পালটা কটাক্ষ করেন নিউ ইয়র্কের হবু মেয়র। বলেন, “ট্রাম্প, আমি জানি আপনি আমার কথা শুনছেন। আমার আপনাকে চারটি শব্দ বলার আছে- আরও জোরে চিৎকার করুন।” তাঁর সংযোজন, “নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প জন্মগ্রহণ করেছেন। কীভাবে তাঁকে পরাজিত করতে হয়, সে পথও এই শহরই দেখাবে। আমি দুর্নীতির অবসান ঘটাব।” এহেন পরিস্থিতিতে সকলের নজর ছিল মামদানি-ট্রাম্পের সাক্ষাতের দিকে।
