সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানকে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন বিক্রি করলে উপকৃত হবে ভারত! বিতর্ক উসকে এমনটাই দাবি করলেন রুশ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ তথা রাশিয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘প্রিমাকভ ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান পিয়েত্র টপিচকানভ।
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিজের দাবির স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “প্রথমত, এর মাধ্যমে প্রমাণিত হবে, চিন এবং পাকিস্তান উভয় দেশই রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন কিনতে হলে তাদের শরণাপন্ন হতে হবে মাস্কোর কাছেই। কারণ, আরডি-৯৩-এর যথাযথ বিকল্প তারা এখনও নির্মাণ করতে পারেনি। দ্বিতীয়ত, রাশিয়া যদি যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন পাকিস্তানকে বিক্রি করে, তাহলে ভারতের কাছে যুদ্ধবিমান জেএফ-১৭ সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা তৈরি হবে। খুঁটিনাটি বিষয় জানতে পারবে।”
যুদ্ধবিমান জেএফ-১৭ চিনের তৈরি। কিন্তু তা পাকিস্তানের নির্ভরযোগ্য অস্ত্র। সেই যুদ্ধবিমানের শক্তি বাড়াতে ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে রাশিয়া! সম্প্রতি এমনই একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রশ্ন ওঠে, ‘ভারতবন্ধু’ রাশিয়া কী করে এমন বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে? শুরু হয় বিতর্ক। এসবের মাঝেই বিবৃতি দেয় মাস্কো। জানায়, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিমান জেএফ-১৭ সংক্রান্ত কোনও চুক্তি হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম উইয়ন যোগাযোগ করে রাশিয়ার আধিকারিকদের সঙ্গে। উত্তরে রুশ প্রতিনিধিরা পাকিস্তানকে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন বিক্রির বিষয়টি খারিজ করেন। মস্কোর তরফে বলা হয়, “পাকিস্তানের সঙ্গে রাশিয়ার এতটাও বন্ধুত্ব নেই, যা ভারতের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’’
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার সঙ্গে একাধিক সামরিক চুক্তি রয়েছে ভারতের। তার মধ্যে যেমন রয়েছে ‘সুদর্শন চক্র’ এস-৪০০। যা অপারেশন সিঁদুরে বিশেষভাবে কাজে এসেছে। তেমনই ভারত ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা গবেষকদের যৌথ উদ্যোগে তৈরি মারণ ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রহ্মস’। এই নামকরণের নেপথ্যে রয়েছে দুই দেশের দুই নদী বিখ্যাত নদী ব্রহ্মপুত্র ও মস্কোভা। এছাড়াও রাশিয়ার কাছ থেকে খনিজ তেল কেনে ভারত। সেই প্রসঙ্গ টেনে ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার পরে ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট হচ্ছে।
