সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাটোর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সামরিক জোটটির সদস্যপদ না পাওয়া নিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করে এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে মরিয়া তিনি।
[আরও পড়ুন: মানবিক বেকহ্যাম, ইউক্রেনবাসীর সাহায্যে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ‘দান’ করলেন তারকা]
সোমবার ইউক্রেনের এক সংবাদমাধ্যমে জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy) বলেন, “হয় ন্যাটো বলুক তারা আমাদের সদস্যপদ দিচ্ছে আর না হলে মেনে নিক রাশিয়ার ভয়ে তারা আমাদের জোটে সামিল করছে না। এবং এটাই সত্যি।” তবে জোটে সামিল না করলেও যুদ্ধ শেষ করতে ন্যাটো দেশগুলির কাজে ফের সামরিক সাহায্য চেয়েছেন তিনি। এদিকে রয়টার্স সূত্রে খবর, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা বসার জন্য ফের আবেদন জানিয়েছেন জেলেনস্কি। যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন তিনি বলে খবর।
বিশ্লেষকদের মতে, জেলেনস্কি সরকারের ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের চেষ্টা এই যুদ্ধের অন্যতম কারণ। রাশিয়া শুরু থেকেই ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান নিয়ে বিপরীত ও বিরুদ্ধে মনোভাব প্রকাশ করে আসছে। কারণ ঘরের পাশের প্রতিবেশী ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানকে মস্কো নিজের নিরাপত্তার জন্য বড় হুঁশিয়ারি বলে মনে করছে। তবে কয়েকদিন আগেই বর্তমান পরিস্থিতিতে কিয়েভ ন্যাটোভুক্ত হওয়ার দাবি ছেড়ে সরে আসছে বলে জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। কিয়েভের এই অবস্থান থেকে সরে আসার অর্থ, নিশ্চিতভাবেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধে যতি পড়ার ইঙ্গিত। কিন্তু এবার ফের ন্যাটোর কাছে আবেদন জানিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। মুখে পুতিন বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিলেও সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে ফৌজ পাঠাতে অস্বীকার করে আমেরিকা ও ন্যাটো। তাদের আশঙ্কা ইউক্রেনে সেনা পাঠালে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ন্যাটো। অর্থাৎ ময়দানে জেলেনস্কিকে একাই বিশাল রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। আর ইউক্রেনের সেনার জন্য পরিস্থিত যে ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে তা স্পষ্ট।