সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নামের আগে 'মিস্টার' বা 'মিস' তকমা মানুষের লিঙ্গ পরিচয় বহন করে। তা অনেক সময়ই কোনও সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে। বাংলায় অবশ্য মহাশয় কিংবা মহাশয়া বলার চল ততটা নেই, যতটা বিদেশে আছে। এবার সেই লিঙ্গ পরিচয়ের বিরুদ্ধে লড়তে চেয়ে কর্মক্ষেত্রে কার্যত হোঁচট খেলেন ফ্লোরিডার এক শিক্ষক। মিস্টার বা মিস নয়, পড়ুয়া ও সহকর্মীদের প্রতি তাঁর আবেদন ছিল, তাঁকে যেন Mx বলে সম্বোধন করা হয়, যা আদতে লিঙ্গ নিরপেক্ষ একটি তকমা। কিন্তু অভিযোগ, এ বিষয়ে তিনি অন্যদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। তাতেই আইনভঙ্গের অভিযোগ তুলে তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনা ফ্লোরিডার গেইনসভিলের ট্যালবট এলিমেন্টারি স্কুলের। সেখানকার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি নাকি পড়ুয়াদের প্রতি ফতোয়া জারি করেছেন যে তাঁকে 'Mx' সম্বোধন করতে হবে। সহকর্মীদের উপরও একইরকম চাপ তৈরি করছিলেন ওই শিক্ষক। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। কর্তৃপক্ষের কানে পৌঁছতেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ছুটিতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। যদিও ওই শিক্ষক মহিলা না পুরুষ, সেই পরিচয় গোপনই রাখা হয়েছে।
এলিমেন্টারি স্কুলের এই ঘটনা জানতে পেরে ক্ষিপ্ত ফ্লোরিডার অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস আথমেয়ার। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বার্থ সার্টিফিকেটে লিঙ্গ উল্লেখ থাকলে, তা কোনওভাবেই কেউ অস্বীকার করতে পারেন না। স্কুলশিক্ষকের এহেন 'লিঙ্গ নিরপেক্ষতা' এবং তা নিয়ে অন্যদের উপর চাপ সৃষ্টি ফ্লোরিডার আইনের পরিপন্থী, কিছুটা মিথ্যাচারও বটে। এভাবে কেউ নিজের ব্যক্তিসত্ত্বা আড়াল করতে পারেন না। তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন, আইনমাফিক পদক্ষেপ করা হোক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
আসলে 'মিস্টার' বা 'মিস'-এর বদলে নামের আগে 'Mx' ব্যবহারের নতুন কিছু নয়। সেই ১৯৭০ সাল থেকে এনিয়ে আইনি লড়াই হয়েছে। ২০১৭ সালে শব্দটি অভিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু যে কোনও ক্ষেত্রে তা ব্যবহারের অনুমোদন নেই মার্কিন আইনে। ফ্লোরিডার অ্যাটর্নি জেনারেল তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। স্কুলশিক্ষকের এই আচরণ আইনভঙ্গের শামিল বলে দাবি তাঁর। আর তাই আপাতত আইনি প্যাঁচে পড়েছেন তিনি।
