সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিডনির বন্ডি বিচের ভয়াবহ হত্যাকান্ডের স্মৃতি ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকায়। বড়দিনের আগেই রবিবার ভোরে জোহানেসবার্গের একটি বারের বাইরে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজের গুলিতে নয়জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এই মাসে দ্বিতীয়বার গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল।
শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে সোনার খনি এলাকা বেকারসডালের একটি বারে প্রায় এক ডজন লোক হামলা চালালে আরও দশজন আহত হন। রাত ১টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে মৃতের সংখ্যা কমিয়ে ৯ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রকাশ্য রাস্তায় হঠাৎ করেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে কয়েকজন বন্দুকবাজ। একাধিক সাধারণ মানুষ গুলিবিদ্ধ হন এই ঘটনায়। পুলিশ তাঁদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও, ডাক্তার তাঁদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার পিছনে কারা রয়েছেন তা খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক অ্যাপক্যাব চালক। সাম্প্রতিক অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকায় অপরাধের ঘটনা বেড়েছে। কিছু দিন আগেই প্রিটোরিয়ায় বন্দুকবাজদের হামলায় ১২ জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। মাফিয়ারাজ এবং অনৈতিক ব্যবসার প্রতিযোগিতার কারণে হত্যার পরিমাণ বেড়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
দক্ষিণ আফ্রিকার বহু বাসিন্দা ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য লাইসেন্স নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র রাখেন। কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্রই আইন কঠোর হলেও এখানে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার ঘটনায় বার বার ফিরে আসছে সিডনির স্মৃতি। গত, রবিবার দুপুরে সিডনির অদূরে বিখ্যাত বন্ডি বিচে ‘হানুকা’ উৎসবে অন্তত ১০০০ জন শামিল হয়েছিলেন। উৎসব চলাকালীন দুই বন্দুকবাজ ঢুকে পড়ে সেখানে। এরপরই ভিড়ে ঠাসা ওই অঞ্চলে শুরু হয় গুলিবৃষ্টি। নিমেষে রক্তে লাল হয়ে যায় সোনালি বেলাভূমি। একে একে ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। শিশু, মহিলা কাউকেই রেয়াত করা হয়নি। ইহুদিদের উৎসবে হামলা চালানো দুই জঙ্গি হল সাজিদ আক্রম (৫০) ও তার পুত্র নাভিদ আক্রম (২৪)। সম্পর্কে এরা পিতা-পুত্র। হামলাকারী বাবা-ছেলে 'শখের শিকারি' বলে পরিচয় দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করেছিল। লাইসেন্স পেতে ঘোরাঘুরিও করছিল। ৫০ বছরের বাবা একটি গানক্লাবের সদস্য।
