shono
Advertisement

মূল্যবৃদ্ধি কমলেও নয়া সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কাবাসী, সরকারকে সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

সরকারের ভুল সিদ্ধান্তেই বিপাকে পড়তে পারেন দেশবাসী, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
Posted: 12:43 PM Aug 14, 2023Updated: 12:43 PM Aug 14, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরম আর্থিক সংকট কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) অর্থনীতি। দীর্ঘদিন পরে দশ শতাংশের নীচে নেমেছে সেদেশের মূল্যবৃদ্ধির হার। আইএমএফের (IMF) আর্থিক সহায়তায় ভর করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি। তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ফের নতুন করে সংকট ঘনাতে পারে সেদেশে। কারণ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও খাবার ও জলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে হুহু করে। তার ফলে আগামী দিনে ফের দুর্দিন দেখা দিতে চলেছে শ্রীলঙ্কায়। বিপাকে পড়তে চলেছেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

২০২২ সালের মার্চ মাস থেকেই কার্যত ভেঙে পড়ে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আমদানি। দেশের বেহাল অবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করে বিক্ষোভে শামিল হন সেদেশের সাধারণ মানুষ। প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে তাণ্ডব চালান লঙ্কাবাসীরা। বেগতিক দেখে দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও তাঁর ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। দীর্ঘদিন পরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রনিল বিক্রমাসিংহে। তারপর থেকে ধীরে ধীরে অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। 

[আরও পড়ুন: মাস্কের সঙ্গে লড়াই থেকে সরলেন জুকারবার্গ, মেটা কর্তাকে ‘মুরগি’ বলে কটাক্ষ ধনকুবেরের]

চলতি বছরের মার্চ মাসে শ্রীলঙ্কা বিশাল অঙ্কের আর্থিক অনুদান দেয় আইএমএফ। তারপরেই ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায় সেদেশের অর্থনীতি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেদেশের মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৬৯ শতাংশ। কিন্তু গত মাসে সেটা ৬.৩ শতাংশে নেমেছে। দেশের কোষাগারে বেড়েছে বিদেশি মুদ্রার পরিমাণও। আন্তর্জাতিক বাজারে শ্রীলঙ্কার মুদ্রার দরও বেড়েছে। কিন্তু সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে ফের দেশজুড়ে সংকট দেখা দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঠিক কী কারণে ফের সমস্যার মুখে পড়তে পারে লঙ্কার অর্থনীতি? বিশেষজ্ঞদের মতে, ইতিমধ্যেই খাবার ও জলের মতো অবশ্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে ফের বড়মাপের মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা দেখা দিতে পারে। জলের মূল্য বাড়িয়েছে সরকার, তার জেরে সমস্যা হবে চাষের ক্ষেত্রেও। এছাড়াও, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে আইএমএফের নিয়মমাফিক চালনা করছে না সরকার। সব মিলিয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে।

[আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের আগেই সাফল্য সেনার, গুলিতে নিকেশ অনুপ্রবেশকারী পাক জঙ্গি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement