shono
Advertisement

মোবাইলে মজে বিপথে আফগান তরুণরা, উদ্বিগ্ন তালিবান! বন্ধ হল PUBG, TikTok

তালিবানি রক্তচক্ষুতে বিপন্ন আফগান আমজনতার জীবন।
Posted: 07:37 PM Apr 26, 2022Updated: 07:37 PM Apr 26, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপথে চলে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। তাদের সঠিক পথে আনতেই এবার নয়া পদক্ষেপ তালিবানের (Taliban)। ইতিমধ্যেই পাবজি সেদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার টিকটকও নিষিদ্ধ কাবুলিওয়ালার দেশে (Afghanistan)। গত বছরের আগস্টে কাবুল দখল করে তালিবান। তারপর থেকেই তারা জানিয়ে দিয়েছিল শরিয়া আইন কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে সবাইকে। একে একে টিভি-সিনেমার মতো বিনোদন মাধ্যমগুলির উপরে নেমে এসেছিল নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া। এবার মোবাইলের জনপ্রিয় অ্যাপের উপরেও জারি হল নিষেধাজ্ঞা। এর আগে নিষিদ্ধ হয়েছে পাবজির মতো জনপ্রিয় গেমও।

Advertisement

উল্লেখ্য, আফগান টিভি চ্যানেলে কেবল ও ধর্মীয় সংবাদই দেখানো হয়। নিষেধাজ্ঞার এই বাড়বাড়ন্তের জন্য়ই আফগান তরুণ প্রজন্ম বেশি করে ঝুঁকছিল মোবাইলের দিকেই। এছাড়া তাঁদের হাতে খুব বেশি বাছাইয়ের সুযোগও নেই। আর এই আসক্তিতেই চটেছে তালিবান। গত বৃহস্পতিবার আফগান টেলিকম মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, বিপথগামী আফগান যুবকদের অধঃপতন রুখতেই বন্ধ করা হচ্ছে টিকটক (TikTok)। এই নয়া নির্দেশ থেকে পরিষ্কার, কীভাবে গত আগস্ট থেকে আফগানিস্তানের মানুষকে তালিবানি রক্তচক্ষুর মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: সাংসদ কোটায় আর ভরতি নয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে, নয়া গাইডলাইন পেশ কেন্দ্রের]

‘গাল্লুর’ নামের একটি সংস্থার সমীক্ষা থেকে গত ফেব্রুয়ারিতেই দেখা গিয়েছিল কীভাবে সিংহভাগ আফগানরাই চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সমীক্ষায় উঠে এসেছিল, ৯৪ শতাংশ আফগান নাগরিকই বিপন্নতায় ভুগছেন। গত ২০০৫ সাল থেকে এই সমীক্ষা করে আসছে ওই সংস্থা। কিন্তু এত খারাপ পরিস্থিতি এর আগে দেখা যায়নি আফগানিস্তানের আমজনতার।

গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করে তালিবান। এর আগেই মার্কিন সেনা ও ন্যাটো সামরিক জোটের সেনা সেদেশ ছেড়ে চলে যায়। এরপরই শুরু হয় তালিবানরাজের নয়া অধ্যায়। প্রথমে তালিবান জানিয়েছিল, এটা তালিবান ২.০। এখানে নিষেধাজ্ঞার রক্তচক্ষুর সামনে সেভাবে পড়তে হবে না আফগানদের। কিন্তু সময় যতই এগয়, ততই পরিষ্কার হয়ে যায় আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষদের অবস্থা কতটা করুণ হতে চলেছে। বিশেষ করে আফগান নারীদের স্বাধীনতা পুরোপুরি কেড়ে নিতে থাকে জেহাদিরা। একে তো আর্থিক দুর্দশা। তার উপরে তালিবানি শাসকদের নিপীড়ন। দুইয়ে মিলে পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠতে সময় লাগেনি।

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত ৪]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement