সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারে জোর ধাক্কা খেল সরকার-বিরোধী বিদ্রোহী জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’। চিনের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নিল জোটের অন্যতম বড় গোষ্ঠী টিএনএলএ (তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি)। মঙ্গলবার টিএনএলএ ঘোষণা করেছে, তারা চিনের কুমনিং শহরে মায়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর জেরে কি তাহলে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল আরাকান আর্মি? এই প্রশ্নটিই এখন উঠতে শুরু করেছে।
এই চুক্তি অনুযায়ী, মায়ানমারের চুনি খনির শহর মোগোক এবং শান রাজ্যের উত্তরাংশের মোমেইক থেকে টিএনএলএ তাদের সেনা প্রত্যাহার করা শুরু করবে। কিন্তু ঠিক কতদিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে সূত্রের খবর, বুধবার থেকেই দু’পক্ষই নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করা শুরু করে দিয়েছে। এর আগে চিনের চালেই বিদ্রোহী জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী এমএনডিএএ (মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি) যুদ্ধ থামানোর কথা ঘোষণা করে। এবার সেই পথে হাঁটল টিএনএলএ। বিশেষজ্ঞদের মতে, জোটের দুই সদস্যের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল তৃতীয় এবং সবচেয়ে বড় গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর সেখানে সরকার গঠন করে জুন্টা। গত আড়াই বছর ধরে তারাই চালাচ্ছে দেশ। সেই থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বার বার বিদ্রোহ হয়েছে মায়ানমারে। এর পর জোট বাঁধে তিন বড় বিদ্রোহী গোষ্ঠী টিএনএলএ (তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি), আরাকান আর্মি ও এমএনডিএএ (মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি)। এই জোটের নাম ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’। ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে বিদ্রোহী জোট শুরু করে ‘অপারেশন ১০২৭’। এর জেরে মায়ানমারের বেশ কয়েকটি প্রদেশে প্রবল বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। মায়ানমারের উত্তরের রাজ্য রাখাইনের দখল নিয়ে নেয় আরাকান আর্মি। এই রাখাইনই এখন গৃহযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু।
