সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্রোহীদের হামলায় ফের রক্তাক্ত পাকিস্তান। বুধবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পাক সেনার কনভয়ে হামলা চালায় পাকিস্তানের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি)। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জন পাক সেনার। তবে বিদ্রোহীদের মধ্যে কেউ প্রাণ হারিয়েছেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর আগও পাকিস্তানকে একাধিকবার রক্তাক্ত করেছে এই বিদ্রোহী সংগঠনটি। লাগাতার লড়াইয়ের জেরে এবার কি গৃহযুদ্ধে ছারখার হবে ভারতের প্রতিবেশী দেশটি? এই প্রশ্নটিই এখন জোরাল হচ্ছে।
বুধবার ভোরে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের গুলশান-ই-আদা এলাকা দিয়ে বেশ কয়েকটি পাক সেনার কনভয় যাচ্ছিল। সেই সময়ে সেখানে অতর্কিতে হামলায় চালায় টিটিপি-র সদস্যরা। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় গুলিবৃষ্টি। পালটা জবাব দেয় পাক বাহিনীও। দীর্ঘক্ষণ দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলার পর মৃত্যু হয় ১৫ জন পাক জওয়ানের। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। তবে এই লড়াইয়ে বিদ্রোহীদের কেউ প্রাণ হারিয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। টিটিপি-র মুখপাত্র মহম্মদ খোরাসানি বলেন, "এদিন ভোরে পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে টিটিপি-র সদস্যরা। লড়াইয়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে পাক সেনার দু'টি কনভয়।"
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের মাথাব্যাথার অন্যতম বড় কারণ এই আফগানিস্তানের মদতপুষ্ট টিটিপি। খাইবার পাখতুনখোয়া, বালুচিস্তান-সহ পাক-আফগান সীমান্ত এদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের। যার জেরে এইসব অঞ্চল থেকে প্রায়শই পাক সেনাবাহিনীর উপর চলে মারণ হামলা। এদিকে, এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে দিয়ে গিয়েছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপিইসি। গত জুন মাসে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় একটি ফিঁদায়ে হামলা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় ১৬ জন জওয়ানের। দফায় দফায় এই ঘটনায় ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, পরিস্থিতি যে পথে এগোচ্ছে তাতে যে কোনওদিন ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে পাকিস্তানে।
