সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরমাণু শক্তিচালিত ড্রোন ‘পোসাইডন’-এর সফল পরীক্ষা করেছে রাশিয়া। সম্প্রতি আরও একটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জবাব দিতে এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরকে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দেন। আর তারপরই বৃহস্পতিবার দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘মিনিটম্যান ৩’-এর সফল পরীক্ষা করল মার্কিন বায়ুসেনার গ্লোবাল স্ট্রাইক কমান্ড।
'এয়ারফোর্স গ্লোবাল স্ট্রাইক কমান্ড' তথা এএফজিএসসির তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ভ্যান্ডেনবার্গের মার্কিন বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে ওই উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এবং তা ৬৭৫৯ কিলোমিটার দূরে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের রোনাল্ড রেগান ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স টেস্ট সাইটের নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। একে স্রেফ একটি উৎক্ষেপণ বলতে নারাজ আমেরিকা। তারা জানিয়ে দিয়েছে, যা আইসিবিএম সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ মিশন সম্পাদনের ক্ষমতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে এটি একটি ব্যাপক মূল্যায়ন। এই ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা রয়েছে গোটা শহর ধ্বংস করে দেওয়ার।
এর আগে ট্রাম্প তাঁর সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশালে লেখেন, ‘অন্যান্য দেশগুলি ইতিমধ্যেই পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে। তাই আমিও যুদ্ধ বিভাগকে আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। শীঘ্রই এই প্রক্রিয়াটি শুরু হবে।’ তাঁর দাবি, এক সময়ে এই ভয়াবহ মারণ অস্ত্রের ধ্বংসাত্মক শক্তির এগুলিকে ঘৃণা করতে তিনি। কিন্তু তাঁর কাছে এখন কোনও উপায় নেই বলেই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর বক্তব্য, বর্তমানে পরমাণু অস্ত্রের শক্তির নিরিখে আমেরিকার পর দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে রাশিয়া। তারপর রয়েছে চিনি। ট্রাম্পের আশঙ্কা, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই দুই দেশ আমেরিকার সমানে চলে আসতে পারে। আর এবার শহরধ্বংসী 'দানব' পরীক্ষা করে দুই দেশকে যে কড়া বার্তা দিল আমেরিকা, তাতে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।
