সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প বনাম হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর খড়্গহস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিদেশি পড়ুয়া ভর্তি-সহ একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তাঁর প্রশাসন। এর মাঝেই নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে ব্যারন ট্রাম্পকে নিয়ে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে, ব্যারন নাকি আইভি লিগ স্কুলে ভর্তির আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু হার্ভার্ড তা গ্রহণ করেনি। তাই দ্বিতীয় ক্ষমতায় ফিরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর 'বদলা' নিচ্ছেন ট্রাম্প! কিন্তু গুজব উড়িয়ে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ব্যারন হার্ভার্ডে আবেদন জানায়নি। তাঁর ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে অযথা গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
বলে রাখা ভালো, আইভি লিগ স্কুল আমেরিকা ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে গঠিত। যার মধ্যে রয়েছে হার্ভার্ডও। ২০২৪ সালের শেষের দিকে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন তাঁর ছোট ছেলে ব্যারন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টার্ন স্কুল অফ বিজনেসে ভর্তি হবেন। তারপর ইন্টারননেটে নানা জল্পনা শুরু হয়। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয় ব্যারনকে হার্ভার্ড, কলম্বিয়া এবং স্ট্যানফোর্ডের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ভর্তি নেয়নি। কিন্তু ট্রাম্পের অন্যান্য সন্তানরা যেমন- ইভাঙ্কা, ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র,
, এরিক, এমনকী টিফানি ট্রাম্পও এই অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু সেই প্রথা ভেঙেছে ব্যারনের ক্ষেত্রে।
এই মুহূর্তে হার্ভার্ড সঙ্গে ট্রাম্পের যে 'সংঘাত' চলছে তাতে অনেক রিপোর্টেই ব্যারনের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হচ্ছে। কিন্তু সমস্ত খবর পত্রপাট খারিজ করে মেলানিয়া জানান, "ব্যারন কোনওদিন হার্ভার্ডে আবেদন জানায়নি। এই ধরনের সম্পূর্ণ মিথ্যা।" প্রসঙ্গত, গাজাযুদ্ধে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে। ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোয় মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় প্যালেস্টাইনপন্থী পড়ুয়ারা। ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরেই এনিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দশ দফা নির্দেশনামা পাঠান। যা খারিজ করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই ধরনের সরকারি হস্তক্ষেপ তারা মানতে নারাজ। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ কোটির অনুদান বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তুলে নেওয়া হয় করছাড়ের মর্যাদাও।
