সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা বোর্ডে ঠাঁই হল দুই প্রাক্তন জঙ্গি ইসমাইল রোয়ার এবং শেখ হামজা ইউসুফের। এদের মধ্যে ইসমাইল পাকিস্তানে লস্করের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং কাশ্মীরে হামলা চালানোয় অভিযুক্ত। অন্যজন, ইউসুফ হামাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল। হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, এই দুই প্রাক্তন জেহাদিকে হোয়াইট হাউসের ধর্মীয় উপদেষ্টা বোর্ডে রাখা হয়েছে।
লরা লুমার নামের এক মার্কিন সাংবাদিক সোশাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকার ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও তাদের হোয়াইট হাউসের কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে। এরপর থেকেই ঘনিয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলা ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কী করে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে?
লুমারের দাবি, র্যান্ডেল টড রোয়ার ২০০০ সালে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলামে দীক্ষিত হয়। নাম নেয় ইসমাইল। সে 'ভার্জিনিয়া জেহাদি নেটওয়ার্কে'র সঙ্গে জড়িত ছিল। ২০০৪ সালে মার্কিন আদালত তাকে আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে ২০ বছরের সাজা শোনায়। ১৩ বছর সাজাও খাটে সে। আদালতে ইসমাইল স্বীকারও করে নেয়, পাকিস্তানে গিয়ে লস্করের প্রশিক্ষণও নিয়েছিল সে। কাশ্মীরে রকেট-গ্রেনেড হামলার সঙ্গেও জড়িয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে শেখ হামজা ইউসুফও একজন জঙ্গি বলেই জানাচ্ছেন লুমার। মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে জড়িত ছিল সে।
এদিকে হোয়াইট হাউসের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেখানে ইউসুফকে জায়তুনা কলেজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষাবিদ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। একই ভাবে রোয়ার ক্ষেত্রেও স্বেচ্ছাসেবী ইসলামি সংগঠনে কাজ করার কথাই বলা হয়েছে। কিন্তু এতদসত্ত্বেও আলোচনায় উঠে আসছে দু'জনের জঙ্গি পরিচয়। লুমার এই নিয়োগকে 'পাগলামি' বলে কটাক্ষ করেছেন। এখন দেখার, পরবর্তী সময়ে হোয়াইট হাউসের তরফে কিংবা খোদ ট্রাম্প এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেন কিনা।
