সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোহিত সাগরে (Red Sea) যুদ্ধের মেঘ জমছে আরও। বন্ধু ইরানের মদতে ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহীদের (Houthi Rebels) ধারাবাহিক হামলার জের। অস্থির পশ্চিমী দুনিয়ার একাংশ। আর এই অস্থিরতার মাঝেই ভারতের জন্য দুঃসংবাদ। এই হামলার জেরে ভারতে (India) তেলের দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (World Economic Forum) প্রেসিডেন্ট বোর্জ ব্রেন্ড। তাঁর অনুমান, ভারত যেহেতু এসব এলাকা থেকে বেশ তেল আমদানি করে, সেই কারণে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে ভারতের উপরেই। ব্যারেল প্রতি ১০ ও ২০ মার্কিন ডলার দাম বাড়তে পারে তেলের।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রেন্ডের বক্তব্য, সুয়েজ খাল সংলগ্ন লোহিত সাগরের ওই এলাকায় ঘন ঘন হাউথি জঙ্গিদের হামলার জেরে ব্যাহত হতে পারে তেল সরবরাহকারী লাইন (Oil Supply Chain)। আর তাতেই প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ভারতের উপর। তবে তিনি এই আশাও প্রকাশ করেছেন যে দ্রুতই এই হামলা বন্ধ হয়ে যাবে। বিশ্বের সামগ্রিক বাণিজ্য সূচকের পতনের কথা উল্লেখ করে ব্রেন্ড বলেন, গত বছর যা ছিল ৩.৪ শতাংশ, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ০.৮ শতাংশে। তার উপর তেলের দামবৃদ্ধি হলে সূচক আরও নামবে। আর সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই সিঁদুরে মেঘই দেখা যাচ্ছে বলে মত তাঁর।
[আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বিল বাঁচাতে অভিনব চুরি! কায়দা জানলে চমকে যাবেন]
সমস্যার সূত্রপাত লোহিত সাগরে মার্কিন বাণিজ্যতরীর উপর হাউথি জঙ্গিদের হামলা। ইরানের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের এই বিদ্রোহীরা ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধে (Israel-Palestine War) হামাসদের সমর্থক। তাদের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, গাজায় প্যালেস্তিনীয়দের সমর্থনে এই হামলা চালানো হচ্ছে। তাই ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকেই লোহিত সাগরে হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেছে বেছে ইজরায়েলপন্থী দেশগুলোর জাহাজে হামলা চালিয়েছে তারা। ভারতের সঙ্গে ইজরায়েলের সুসম্পর্কের জেরে হাউথিদের নিশানা ভারতীয় বাণিজ্যতরীও। তবে এই হামলা চলতে থাকলে মধ্যপ্রাচ্যের তেল সরবরাহ ব্যাহত হবে। এবং তার জেরে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হতে পারে ভারতের মতো আমদানিকারী দেশকেই, এমনই আশঙ্কা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্টের।
[আরও পড়ুন: স্টোকসদের বিরুদ্ধে নামার আগে স্বস্তিতে কেএল রাহুল! কী সিদ্ধান্ত নিলেন রোহিত?]
তবে ভারতের ধারাবাহিক আর্থিক বৃদ্ধির প্রশংসা করেছেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট। তাঁর কথায়, ”ডিজিটাল অর্থনীতি ও আমদানি বাণিজ্যে ভারত যথেষ্ট অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। তবে এখনও নানা ক্ষেত্রে তাদের সংস্কার প্রয়োজন। অযথা লাল ফিতের ফাঁসে আটকে না রেখে দ্রুত কাজ করতে হবে। আশা করি, নয়াদিল্লি তা বোঝে এবং সেইমতো পদক্ষেপ নেবে।”