সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে নৃশংস হামলার (Pahalgam Terror Attack) নিন্দায় একযোগে সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু থেকে শুরু করে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। হামলার তীব্র নিন্দা করে কড়া বিবৃতি দিয়েছে আমেরিকাও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই ফোন করেছিলেন 'বন্ধু' মোদিকে।
পহেলগাঁও হামলার পরে কার্যত রণংদেহি মেজাজে একের পর এক পদক্ষেপ করেছে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশই। এহেন পরিস্থিতিতে ২০ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে বৈঠক করেছে বিদেশমন্ত্রক। তারপরেই একের পর এক রাষ্ট্রনেতার ফোন এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। আমেরিকা এবং চিনের রাষ্ট্রদূতরা হাজির ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের বিশেষ বৈঠকে। এছাড়াও জার্মানি, জাপান, পোল্যান্ড, রাশিয়া, ব্রিটেনের মতো দেশের রাষ্ট্রদূতরা রয়েছেন সেই তালিকায়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেন বিক্রম মিসরি। পহেলগাঁও সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয় তাঁদের।
সেই বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই মোদিকে ফোন করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। হামলার তীব্র নিন্দাও করেছেন তিনি। নৃশংস হামলা নিয়ে নেতানিয়াহুকে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা, জর্ডানের রাজা আবদুল্লা- সকলেই ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার পহেলগাঁও হামলা নিয়ে বিশেষ বিবৃতি দিয়েছে আমেরিকার বিদেশ দপ্তর। সেখানে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও স্পষ্ট জানিয়েছেন যে আমেরিকা ভারতের পাশে রয়েছে। সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা করছে আমেরিকা। অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হোক, এমনটাই বলা হয়েছে মার্কিন বিবৃতিতে।
