সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বখ্যাত বক্সার হতে পারতেন। জিততে পারতেন আরও অনেক পদক। কিন্তু তার আগেই তাল কাটল। মাত্র ৩১ বছর বয়সেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন স্কট ওয়েস্টগার্থ। তিনি চলে গেলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর উপস্থিতি রয়ে গেল। না, শুধুই স্মৃতিতে নয়, অন্যকে জীবনদানের মাধ্যমে। মৃত্যুর আগে অঙ্গদান করে দিয়েছিলেন তিনি। আর তাতেই নতুন করে প্রাণ পেলেন সাতজন।
[IPL উদ্বোধনে জোর ধাক্কা, পারফর্ম করছেন না রণবীর]
গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ম্যাচের সময়ই ঘটে সেই দুর্ঘটনা। জীবনের শেষ ম্যাচটি জিতেই রিং ছেড়েছিলেন বক্সার। কিন্তু জীবনের লড়াইয়ে শেষমেশ হেরে গেলেন। স্কটের মাথা থেকে রক্ত বের হতে শুরু করলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার সময়ই অঙ্গদানের তালিকায় নিজের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন তিনি। আর তাতেই নতুন করে বাঁচার রসদ পেলেন সাতজন।
[কমনওয়েলথ গেমস শুরুর আগে আরও বিপাকে ভারত, শমন পাঠানো হল সংস্থাকে]
একজন বক্সারের শক্তপোক্ত দেহের আড়ালে যে এমন নরম হৃদয়ের মানুষ লুকিয়ে ছিল, তা জানতেন স্কটের মা। ছেলের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে রেবেকা বলেন, “অল্পবয়স থেকেই অন্যের সাহায্য করতে এগিয়ে যেত স্কট। নিস্বার্থে যে কোনওরকম সাহায্য করাটা একপ্রকার অভ্যাসই ছিল তার। যার দৃষ্টান্ত মৃত্যুকালেও রেখে গেল সে।” ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েই জানতে পারেন, অঙ্গ দান করেছেন স্কট। তারপরই অসুস্থ ছেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। স্কটকে চিরতরে হারিয়ে ফেলার আগে তাঁর হৃদয়ে হাত রেখে রেবেকা ভেবেছিলেন, যিনি তাঁর ছেলের হৃদয়টি পাবেন, তিনি সবচেয়ে সৌভাগ্যবান হবেন। আজ বক্সার ছেলে নেই ঠিকই। কিন্তু তাঁর জন্য যে সাতজন জীবনের প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন, এটা জেনেই সন্তুষ্ট মা। গর্বিতও বটে। তাঁদের মধ্যেই যে স্কট বেঁচে থাকবে, এমনই বিশ্বাস তাঁর। স্কটের এই মানবিক রূপ গোটা বিশ্বের কাছেই দৃষ্টান্ত।
The post মৃত্যুকালেও নজির, বক্সারের অঙ্গদানে প্রাণ বাঁচল সাত নাগরিকের appeared first on Sangbad Pratidin.
