অর্ণব আইচ: ক'দিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সুরে সুর মিলিয়ে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর বার্তা দিয়েছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত চিনা (China) রাষ্ট্রদূত জু উই। চলতি বছরটি যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন সফরের শতবর্ষ, সেকথাও উল্লেখ করেন তিনি। পৃথিবীর দুই প্রচীনতম সভ্যতার অংশীদার দুই দেশের শিল্প ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানে এবার চিন সফরে যাচ্ছেন ভারত তথা বাংলার তরুণ শিল্পীদের একটি দল। দক্ষিণপশ্চিম চিনের ইউনান প্রদেশে আগামী ২২-২৭ জুলাই একাধিক আলোচনা সভা, সমাবেশ, প্রদর্শনীতে অংশ নেবেন তাঁরা।
ভারত থেকে যে দলটি সাংস্কৃতিক সফরে চিনে যাচ্ছে তাঁর নেতৃত্বে রয়েছেন অনুরাধা মজুমদার। এছাড়াও ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ওডিশি নৃত্যশিল্পী অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়, কত্থক শিল্পী ঐশী ভট্টাচার্য, অধ্যাপক ও গবেষক শ্রীতপা চক্রবর্তী, বিশ্বভারতীর চিনা ভবনের শিক্ষক শুভেন্দু ঘোষাল, রবীন্দ্র কুমার, বিশ্বভারতীর রাশিয়ান বিভাগের শিক্ষক সুভাষ ঠাকুর, কবি ও গায়িকা মৌসুমী হুসেন, চিনা ভাষার শিক্ষিকা সৃজা হাজরা প্রমুখ।
[আরও পড়ুন: শপথের সময় প্যালেস্টাইনের জয়ধ্বনি, উঠল ওয়েইসির সাংসদ পদ খারিজের দাবি]
ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবে ভারতীয় দলটি। ঘুরে দেখবে মিউজিয়াম। চিনের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়াই মূল উদ্দেশ্য। মনে করা হয় পানীয় চা এবং ক্যালিগ্র্যাফির মাতৃভূমি চিন। ওদেশ গিয়ে তা-ও হাতে কলমে চাক্ষুষ করবে বাংলা থেকে যাওয়া তরুণ প্রতিনিধি দলটি। ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের সভায় চিন-ভারত দুই দেশের শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক আলোচনা চক্রে অংশ নেবেন উভয় দেশের প্রতিনিধিরা। প্রাচীন শহর গুয়া দু ঘুরে দেখবে বাংলার শিল্পীরা। সেদেশের আদিবাসী শিল্পীদের সঙ্গে কথোপকথনেরও সুযোগ পাবেন সফরকারীরা। বিশ্বের প্রাচীনতম দুই সভ্যতার সম্পর্ককে জোরালো করতেই ভারত-চিনের এই অভিনব উদ্যোগ।