শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: শ্বশুরের অনুপস্থিতিতে শাশুড়ির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন যুবক। মাঝেমধ্যে একান্ত সময়ও কাটাত তারা। তবে অন্তরঙ্গ অবস্থায় যে ধরা পড়ে যাবে দু’জনে, তা আর কে জানত। গ্রামবাসীদের নজরে পড়ে যাওয়ায় ঘটল বিপত্তি। শাশুড়ি ও জামাইকে একসঙ্গে গাছে বেঁধে রেখে মারধর করলেন গ্রামবাসীরা। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির গোসাই হাটের ডিপটারি গ্রামে জোর চাঞ্চল্য।
ভোটপাড়া গ্রামের যুবক তাজিবুল হকের সঙ্গে বছর তিনেক আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন ডিপটারি গ্রামের এক বাসিন্দা। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরে। অথচ শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ় হতে থাকে যুবকের। এই নিয়ে দুই পরিবারের অশান্তিও কম হয়নি। গ্রামবাসীরা সালিশি সভাও বসান। জামাইয়ের শ্বশুরবাড়ি যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়।
[আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও করে যুবককে ‘ব্ল্যাকমেল’, তরুণী-সহ গ্রেপ্তার ২]
তা সত্ত্বেও জামাই গোপনে শাশুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে শ্বশুরের অনুপস্থিতিতে জামাই যায়। রান্নাঘরে শাশুড়ির সঙ্গে একান্তে সময়ও কাটায়। ঘনিষ্ঠ অবস্থায় গ্রামবাসীদের নজরে পড়ে যায় দু’জনে। হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা।
এরপর আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীরা মিলে দু’জনকে গাছের সঙ্গে বাঁধে। বেধড়ক মারধর করা শুরু হয়।পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনায় দুই পরিবার কোনও মন্তব্য করেনি। এমনকি থানায় কোনও অভিযোগও করেননি তাঁরা। শাশুড়ি, জামাইকে পরে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেই জানান ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা।