সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: বিয়ে করতে বারবার চাপ দিত কিশোরী প্রেমিকা। তার জেরে প্রেমিকাকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে খুন করল যুবক। পুলিশের তৎপরতায় দু’দিন পর উদ্ধার দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়ার (Purulia) মানবাজার থানার অক্ষয়পুর গ্রামে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, খুনের কথা নিজে মুখে স্বীকারও করেছে সে।
ব্যাংকে যাওয়ার নাম করে গত ১১ জুলাই ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বেরোয়। তবে সারাদিন কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেনি সে। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পরেরদিন কিশোরীর পরিবারের লোকজন মানবাজার থানায় যান। নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা। ওইদিনই কিশোরীর পরিবারের লোকজন জানতে পারেন গ্রামেরই বাসিন্দা তাপস বাউড়ির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর মেয়ের। সেকথা পুলিশকেও জানান তাঁরা। ওইদিনই পুলিশ তাপস বাউড়ির বাড়িতে হানা দেয়। কিশোরী কেন নিখোঁজ হয়ে গেল, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাপসকে। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতেই খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সে।
[আরও পড়ুন: সৎ মেয়ের সঙ্গে যৌন মিলন! ‘গোপন’ সন্তান রয়েছে এলন মাস্কের বাবার]
তাপস পুলিশকে জানায়, কিশোরী প্রেমিকা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল তাকে। তবে এখনই বিয়ে করার মতো পরিস্থিতি ছিল না। বারবার বোঝানো সত্ত্বেও কাজের কাজ হয়নি। গত ১১ জুলাই প্রেমিকার সঙ্গে শেষবার দেখা হয়েছিল। টুরাং জঙ্গলে গিয়েছিলেন তারা। প্রেমিকা সেদিনও বিয়ের কথা বলেছিল। তাতে রাজি হননি যুবক। এরপরই প্রেমিকাকে খুন করে। টুরাং জঙ্গলে দেহ ফেলে রেখে দিয়ে চলে যায় সে।
যুবকের কথা শুনে পুলিশ টুরাং জঙ্গলে যায়। কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিশের অনুমান, গত ১১ জুলাই দুপুর একটা নাগাদ খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ তাপস বাউড়িকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে খুনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কিশোরীর পরিবারের লোকজন।