জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ফেসবুকে (Facebook) চিকিৎসকের নাম ভাঁড়িয়ে প্রোফাইলে অন্য ছবি ব্যবহার, যুবতীর সঙ্গে প্রেম, প্রেমিকার নগ্ন ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি – একের পর এক অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার হোটেলের রাঁধুনি যুবকের। যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। এটাই বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার (Bongaon Cyber Crime PS) প্রথম মামলা।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের নাম আলোক রায়। বাড়ি রানাঘাটের মাঠ কুমড়া এলাকায়। হোটেলের রান্নার কাজ করে আলোক। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) নিজের নাম দেন সন্দীপ রায়। কেন্দ্রীয় হাসপাতালে কর্মরত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেছিল সে। তার প্রোফাইলে অন্য এক যুবকের ছবি ব্যবহার করে৷
[আরও পড়়ুন: SSC দুর্নীতি মামলা: হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়]
জানা গিয়েছে, রানাঘাটের আলোক রায় কয়েক মাস আগে তার ফেসবুক পেজে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে ছিল৷ সেই ফেসবুক পেজে গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর শিমুলপুর এলাকার বছর বয়সের এক যুবতীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে৷ ফোন নাম্বার আদান-প্রদান হতেই ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি। যুবতীর কাছে তাঁর নগ্ন ভিডিও দাবি করে প্রেমিক। তাকে নগ্ন ভিডিও তুলে পাঠান ওই যুবতী। অভিযোগ, ধৃত যুবতীর কাছে প্রতিদিন নগ্ন ছবি দাবি করতে থাকে। যুবতী দিতে অস্বীকার করতে তার ছবি ভাইরাল (Viral) করে দেওয়ার ভয়ে দেখাতে থাকে।
[আরও পড়়ুন: অর্জুন সিংয়ের আন্দোলনের সাফল্য, পাটের সর্বোচ্চ দাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]
এরপরে যুবতী হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাকে জিজ্ঞাসা করতেই সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলে সে।এরপরই যুবতীকে নিয়ে তার পরিবার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার আধিকারিক সুদীপ্ত দে জানতে পারেন৷ অভিযুক্ত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নয় হোটেলের রাঁধুনি। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক নাম ভাঁড়িয়ে যুবতীর নগ্ন ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেল (Blackmail) করছিল৷ বুধবার রাতে অভিযুক্তকে রানাঘাটের মাঠ কুমড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠায় পুলিশ। বিচারক তার ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।