দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: টানা ২০ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমিকার সঙ্গে সহবাসও করেছেন। কিন্তু তারপর এক লহমায় সেসব ভুলে অন্য পাত্রীকে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন যুবক। তবে সেই পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই শ্রীঘরে ঢুকতে হল যুবককে। হুগলির (Hooghly) শেওড়াফুলির ঘটনায় প্রেমিকার অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করে শ্রীরামপুর মহিলা থানার পুলিশ। শ্রীরামপুর (Sreerampur) আদালতে পেশ করে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
ধৃতের নাম শৌভিক চট্টোপাধ্যায়। বছর চল্লিশের শৌভিক শেওড়াফুলির ঘোষ মার্কেটের বাসিন্দা। ওই এলাকারই এক তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘ ২০ বছরের প্রেমের (Love) সম্পর্ক তাঁর। এত বছরের সম্পর্কে অনেকদিন তাঁরা সহবাসও (Live-in) করেছেন। কিন্তু গোল বেঁধেছে সম্প্রতি। প্রেমিকা জানতে পারেন, তাঁকে অস্বীকার করেই অন্যত্র বিয়েতে রাজি হয়েছেন শৌভিক। তা শুনে প্রেমিকা স্পষ্ট দাবি করেন যে তাঁদের এতদিনের সম্পর্ককে কিছুতেই অস্বীকার করতে পারেন না শৌভিক। তাঁদের শারীরিক সম্পর্কও রয়েছে, তাই যুবতীকেই বিয়ে করতে হবে।
[আরও পড়ুন: আনিসকাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তে SIT গঠনের নির্দেশ, ‘দোষী হলে আমিও শাস্তি পাব’, বললেন মমতা]
কিন্তু প্রেমিকার কাতর আবেদন শুনেও মন গলেনি শৌভিকের। অন্য পাত্রীর সঙ্গেই বিয়েতে রাজি হন তিনি। তা জেনেশুনে রবিবার শ্রীরামপুর মহিলা থানায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে প্রেম, শারীরিক সম্পর্কের পরও প্রেমিক তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন। তিনি সুবিচার চান। এরপরই তদন্তে নেমে সোমবার শৌভিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: দাদার নজর এড়িয়ে হবু বউদির সঙ্গে প্রেম ও সহবাস, বিয়ের পরই শ্রীঘরে ভাই]
ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, শৌভিক তেমন কিছু করতেন না। অর্থাৎ রোজগার ছিল না তেমন। হয়ত সেই কারণেই অন্য পাত্রীর সঙ্গে বিয়েতে রাজি হয়েছেন। হয়ত এই বিয়ের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক আছে। যদিও কেন এতদিনের প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করে অন্যত্র বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন শৌভিক, সে বিষয়ে তিনি বা তাঁর পরিবার মুখ খোলেনি।