সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের (Ukarine) উপর লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। সর্বশক্তি দিয়ে মস্কোর (Moscow) বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে কিয়েভ (Kyiv)। এমন পরিস্থিতিতে কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি (Volodymyr Zelensky)। ভারত-সহ ৫ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করল ইউক্রেন। তবে কী কারণে এই পদক্ষেপ তা এখনও স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিদেশি শক্তিদের কাছ থেকে সাহায্য আনতে ব্যর্থ হওয়ার দরুনই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
শনিবার গভীর রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ভারত-জার্মানি-চেক রিপাবলিক-নরওয়ে এবং হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূতদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অন্য কোনও দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ২০ বছর ধরে ঋতুস্রাব হচ্ছে পুরুষের! পেটের ব্যথায় চিকিৎসকের কাছে যেতেই মাথায় হাত যুবকের]
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) থামার লক্ষ্মণ নেই। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি শক্তিদের নিজেদের দলে টানার দায়িত্ব বর্তে ছিল ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতদের উপর। কূটননৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি অস্ত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ এবং রাশিয়ার (Russia) উপর চাপ তৈরির আরজি ছিল ভারত-সহ একাধিক দেশের কাছে। আর এ বিষয়ে নয়াদিল্লিকে রাজি করানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন ইউক্রেনীয় রাষ্টরদূত। কূটনীতিবিদদের মতে, সে কাজে ডাহা ফেল করেছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত। কারণ, যুদ্ধবিরতির আবেদন জানালেও রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একবারও ভোট দেয়নি ভারত। এমনকী, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মস্কো থেকে বিপুল অঙ্কের অপরিশোধিত তেল কিনেছে নয়াদিল্লি। যা রাশিয়ার অর্থনীতিকে পুষ্টি জুগিয়েছে।
এদিকে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হলেও পুতিনের (Putin) দেশের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করেনি জার্মানিও। রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের উপর মারাত্মকভাবে নির্ভরশীল বার্লিন। রাশিয়ার এক গ্যাস সংস্থাকে দেওয়া টারবাইন আপাতত কানাডাতে রয়েছে। চলছে মেরামতির কাজ। কিয়েভের আরজি ছিল, ওই টারবাইন রাশিয়ায় ফিরিয়ে না দেওয়া। তাহলে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার নীতিভঙ্গ হবে। কিন্তু সেই আরজিতে কর্ণপাত করেনি জার্মানি। এই ঘটনাকেও সে দেশের রাষ্ট্রদূতের ব্যর্থতা হিসেবেই দেখছে ইউক্রেন। আর তাই ৫ রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করা হল মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে কিয়েভের তরফে এ প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।