সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছর তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জোরকদমে চলছে তার প্রস্তুতি। এর মাঝেই ফের তাইওয়ানের কাছে হানা দিল চিনের যুদ্ধবিমান। এর আগে বহুবার দ্বীপরাষ্ট্রটির ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ঢুকে পড়েছিল এই বিমানগুলো। যা নিয়ে বেজায় ক্ষিপ্ত তাইপেই। কমিউনিস্ট দেশটিকে যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত তারাও। মনে করা হচ্ছে, ভোটের আগে তাইওয়ানে আতঙ্ক তৈরি করতেই এই প্রয়াস লালফৌজের।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, বুধবার ১১টি চিনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। এই বিষয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, বুধবার চিনের ১১টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখার উপর দিয়ে উড়ে যায়। লালফৌজের আগ্রাসী বিমানের ঝাঁকে ছিল জে-১০ ও জে-১৬ ফাইটার জেট। ছিল এইচ-৬ বোমারু বিমানও। চিনা রণতরীর সঙ্গে যৌথভাবে যুদ্ধের মহড়া চালাচ্ছে তাদের বিমানবাহিনী। জানা গিয়েছে, গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেছে তাইওয়ান। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চিনের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
[আরও পড়ুন: G-20: নিজ্জর খুনের পর প্রথমবার মুখোমুখি মোদি-ট্রুডো! এড়ালেন জিনপিং]
উল্লেখ্য, চিন ও তাইওয়ানের (Taiwan) মধ্যে বহুদিন ধরে চলছে ক্ষমতা দখলের লড়াই। গত তিন বছরে এই লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া চিন। কিন্তু ‘ড্রাগন’কে এক চুল জমিও ছাড়তে নারাজ তাইওয়ান। ফলে চাপানউতোর বেড়েই চলেছে দুদেশের মধ্যে। এই আবহে আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই প্রার্থীদের নাম নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে। এর মাঝেই তাইওয়ানের আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। তাইওয়ানের বর্তমান শাসকদল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (DPP) চিনের চক্ষুশূল। এই দলটিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে করে বেজিং।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে তাইওয়ানের সীমান্ত জুড়ে সামরিক মহড়া তীব্র করেছে লালফৌজ। কয়েকদিন আগেই দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয় ভেদ করে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল চিনের যুদ্ধবিমান ও রণতরী। তবে চিনের চোখ রাঙানি ভয় ধরাচ্ছে না তাইওয়ানকে। লালফৌজের আগ্রাসনের কড়া জবাব দিতে নিজেদের মাটিতেই সাবমেরিন তৈরি করেছে তাইপেই। কমিউনিস্ট দেশটির হামলা ঠেকাতে সামরিক বাহিনীকে অত্যাধুনিক হাতিয়ারে সাজিয়ে তুলছে দ্বীপরাষ্ট্রটি।