সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরীক্ষা চলাকালীন কাবুলের একটি শিয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। নিহত শতাধিক। বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন আরও ২৭ জন। নিহত এবং আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। হামলার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেট (খোরাসান) রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আফগান সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে কাবুলের পশ্চিমে দস্ত-ই-বারচি এলাকায় ‘কাজ’ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। ওই এলাকায় মূলত সংখ্যালঘু শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের বাস। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে পড়ুয়ারা যখন পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন তখনই ঘটে বিস্ফোরণ। তাতেই অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন। অনেকের আঘাত গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে খবর। হামলার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)-এর হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: অধিকৃত ইউক্রেনের ‘গণভোটে’ জয়ী রাশিয়া! পর্তুগালের সমান ভূখণ্ড খোয়াতে চলেছে কিয়েভ]
বিস্ফোরণ নিয়ে আফগান পুলিশের মুখপাত্র খদিল জাদরান বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। তখনই সেখানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় এক জঙ্গি। ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অনেকেই গুরুতর আহত।” আফগানিস্তানের তালিবান (Taliban) সরকারের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুল নাফি টেকর ঘটনার পরই টুইটে লেখে, “নিরাপত্তারক্ষীরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। হামলার ধরন এবং ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে শীঘ্রই জানানো হবে। সাধারণ মানুষের উপর হামলা প্রমাণ করে শত্রুদের নৃশংসতা, অমানবিকতা।”
উল্লেখ্য, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। আইএসের (ISIS) দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। ওই মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা। বিশেষত, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া।