সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নিপা ভাইরাসের থাবা কেরলে। এবারও সেই মলপ্পুরম। মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে এবার মারণ ভাইরাসের শিকার বছর ২৪-এর এক যুবক। শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। নতুন করে নিপা সংক্রমণে ফের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
গত শনিবার এই মৃত্যুর কথা প্রকাশ্যে এসে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানান, নিপা সংক্রমণই ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত ছিল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত ৯ সেপ্টেম্বর ওই যুবকের মৃত্যুর পর তাঁর শরীরের নমুনা কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই আমরা নিশ্চিত হয়েছি মৃত্যুর কারণ নিপা ভাইরাস। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবক বেঙ্গালুরুতে পড়াশুনা করতেন। মৃত্যুর আগে তিনি কোন কোন জায়গায় গিয়েছিলেন ও কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁর সংস্পর্শে আসা ১৫১ জনকে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। যার মধ্যে ৫ জনের মধ্যে দেখা গিয়েছে জ্বরের লক্ষ্মণ।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে জ্বর, মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরের শরীরে। গত ১৯ জুলাই তাকে কোঝিকোড় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আগেই কিশোরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পুণের গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিশোরের দেহে নিপা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়ার পর চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা রাজ্যে। আক্রান্ত কিশোরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। তবে সংক্রমণ ধরা পড়ার একদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে মৃত্যু হয় তার।
এভাবে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় সতর্ক হয়ে উঠেছে। নিপা রুখতে নেওয়া হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় পদক্ষেপ। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রত্যেক রোগীর সঙ্গে কেবল মাত্র এক জনকেই হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। কোনও রকম উপসর্গ দেখলেই নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিকে চিকিৎসকেরা বলছেন, পাখি কিংবা পশুতে ঠোকরানো ফল খাওয়া থেকেও নিপার সংক্রমণ হতে পারে। ওই ধরনের ফল খেতে বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাজার থেকে কেনা ফল ভালো ভাবে ধুয়ে তবেই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।