সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের চিনা (China) আগ্রাসন। তাইওয়ানের আকাশে চক্কর কাটল চিনের বিমান। রবিবার তাইওয়ানের আকাশসীমার প্রতিরক্ষা বলয় ভেঙে ২৭টি চিনা বিমান ঢুকে পড়ে। জানিয়েছে সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, রবিবার তাইওয়ানের আকাশসীমার বাফার জোনে ঢুকে পড়ে চিনের ২৭টি বিমান। পালটা তাইওয়ানের কমব্যাট ফোর্স তাড়া করে তাদের। ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, চিনা বিমানকে তাক করে রয়েছে মিসাইল সিস্টেম। তাড়া খেয়ে ফিয়ে যায় তাঁরা। তাইওয়ানের তরফে জানানো হয়, ১৮টি চিনের যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ছিল পাঁচটি এইচ-৬ বোমারু বিমান এবং ওয়াই-২০ রিফুয়েলিং বিমানও।
[আরও পড়ুন: BJP CANDIDATE LIST: কলকাতা পুরভোটে ১৪৪ ওয়ার্ডে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, প্রাধান্য মহিলা ও তরুণদের]
ইতিপূর্বে ৭ সেপ্টেম্বর তাইওয়ানের (Taiwan) প্রতিরক্ষা বলয়ে অনুপ্রবেশ করে চিনের অন্তত ১৯টি যুদ্ধবিমান। রাডারে বিমানগুলি ধরা পড়তেই হামলা বা সংঘাত ঠেকাতে অনুপ্রবেশকারী বিমানগুলিকে আগাম সতর্ক করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করা হয়। জানা গিয়েছে চিনা যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে ছিল চারটি H-6 বোমারু বিমান, দশটি J-16 ফাইটার জেট, চারটি SU-30 যুদ্ধবিমান, একটি ট্যাঙ্কার ও একটি নজরদারি বিমান। এই বিষয়ে তাইওয়ান প্রতিবাদ করলেও মুখ খোলেনি চিন।
প্রসঙ্গত, বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন । তবে বেজিংয়ে ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি।
[আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে বিরিয়ানি লুট! দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে হতবাক দমদমবাসী]
সেই আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে এক বিবৃতি জারি করে চিনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, স্বশাসিত অঞ্চলটির যে সমস্ত রাজনীতিবিদ তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলবেন তাঁদের অপরাধী তকমা দেওয়া হবে। তাঁদের কোনওদিন চিনের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সেখানে তাঁদের কোনও ব্যবসাও করতে দেওয়া হবে না।