দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: জেলে বসেই বিধায়ককে (MLA) হত্যার পরিকল্পনা! আর সেই ছক ফাঁস হতেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক (Canning TMC MLA) পরেশরাম দাস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
বেশ কয়েক মাস আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় মাতলা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি কমল মল্লিককে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পঞ্চায়েত সদস্যকে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই জেল খাটছে তিন যুবক। আর জেলে বসেই বিধায়ককে হত্যার ছক কষার অভিযোগ উঠল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। কারণ কমল মল্লিককে গাড়িচাপা দিয়ে পালানোর সময় বিধায়কের লোকজনই ওই যুবকদের ধরে ফেলেছিলেন। আর তাই রাগ গিয়ে পড়ে বিধায়কের উপর।
[আরও পড়ুন: ‘পল্লবীর আগে আত্মহত্যা করেছে সাগ্নিকের আরও এক প্রেমিকা’, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকরা আপাতত জামিনে মুক্ত। জেলের বাইরে আছে। তারা সকলেই ক্যানিংয়ের বাসিন্দা। কিন্তু জামিনে মুক্ত হলেও তারা কেউ ক্যানিংয়ে ফেরেনি। ওড়িশাতে আছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। আর সেখান থেকেই বিধায়ককে হত্যার ছক কষছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেলে থাকাকালীন অন্য কয়েকজন দাগী অপরাধীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ওই তিনজন। যার মধ্যে একজন ক্যানিংয়ের আসামিও ছিল। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সে বিষয়টি ক্যানিংয়ের বিধায়ক পরেশরাম দাসকে জানায়। তার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
এ বিষয়ে বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, “বিষয়টি জানার পর আমি বারুইপুর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিককে জানিয়েছি। ক্যানিং থানাতেও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। যে সমস্ত দুষ্কৃতীরা মাতলা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি কমল মল্লিককে গাড়িচাপা দিয়ে খুন করেছিল তারা এবার আমাকে খুন করার পরিকল্পনা করছে জেলে বসেই। টাকা পয়সা দিয়ে আরও কয়েকজন অপরাধীকে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।