সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে স্বস্তি। এক সপ্তাহ ধরে নাইজেরিয়ার (Nigeria) ৩৪৪ জন স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণ করে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। বাড়ছিল উদ্বেগ। শেষপর্যন্ত মুক্তি পেল পড়ুয়ারা। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বোকো হারাম (Boko Haram) জঙ্গি সংগঠন। তবে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়, আরও কোনও ছাত্র আটকে রয়েছে কিনা।
গত শুক্রবার ক্যাটসিনা প্রদেশের কাঙ্কারা শহরের এক স্কুল থেকে অপহরণ করা হয় ওই পড়ুয়াদের। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। দেশের এই প্রান্তে এই ধরনের অপরাধের ঘটনা মোটেই বিরল নয়। কিন্তু মঙ্গলবার বোকো হারাম জঙ্গি গোষ্ঠীর তরফে এই অপহরণের দায় স্বীকার করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ২৭৬ জন ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল বোকো হারাম।
[আরও পড়ুন: কাস্পিয়ান সাগরের উপকূলে উদ্ধার বিপন্ন প্রজাতির প্রায় ৩০০টি সিলের মৃতদেহ, তদন্তে রাশিয়া]
স্বাভাবিক ভাবেই অপহৃত পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি। দুশ্চিন্তায় ছিল গোটা দেশ। ছাত্রদের মুক্তির খবর জানিয়ে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘গোটা দেশের মানুষের কাছেই এটা বিরাট স্বস্তির খবর।’’ তবে মুক্তি পাওয়া ছাত্ররা এখনও বাড়িতে এসে পৌঁছয়নি। পরিবারের কাছে তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার আগে তাদের সকলের সম্পূর্ণ মেডিক্যাল পরীক্ষা করে দেখা হবে।
যদিও সংশয় এখনও রয়েই যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বোকো হারাম একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে এক কিশোরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ৫২০ জন ছাত্রকে অপহরণ করা হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা এএফপির কাছে এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক নিরাপত্তা কর্মী জানিয়েছেন, সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়ার পর সব ছাত্রকে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে যায় জঙ্গিরা। ক্যাটসিনায় পৌঁছলে ছাত্রদের সংখ্যা গুণে দেখে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলেই বোঝা যাবে পুরো বিষয়টা।
[আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ]
আফ্রিকার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরে অপরাধের মাত্রা অত্যন্ত বেশি। একদিকে যেমন রয়েছে কট্টরপন্থী জঙ্গিরা। অন্যদিকে তেমনই মাথাচাড়া দিয়েছে আরও অন্য ধরনের অপরাধও। মারামারি, অপহরণের মতো ঘটনা নিয়মিত ঘটেই চলে এখানে। এবিষয়ে সরকারের গাফিলতির অভিযোগ তোলেন সাধারণ নাগরিকরা।