সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে দেড় মাস কেটে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War)। এখনও পর্যন্ত লড়াই থামার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং ক্রমেই বাড়ছে প্রাণহানি ও সম্পত্তি ধ্বংসের ঘটনা। শুক্রবার রুশ রকেট আছড়ে পড়ল পূর্ব ইউক্রেনের (Ukraine) ক্রামাটর্সকের রেলস্টেশনে। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই হামলায় অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক।
ইউক্রেনের রেল দপ্তরের তরফে একটি বিবৃতি পেশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ”এদিন দু’টি রকেট আছড়ে পড়েছে ক্রামাটর্সক রেল স্টেশনে। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়। আহত হয়েছেন ১০০-র বেশি ব্যক্তির।” তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাশিয়ার তরফে এখনও এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
[আরও পড়ুন: নির্দিষ্ট সময়ের পর খেলার মাঠে থাকতে পারবেন না মহিলারা! ‘ফতোয়া’ জারি মেদিনীপুরের ক্লাবের]
ডোনেৎস্কের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো এই হামলার তীব্র নিন্দা করে জানিয়েছেন, যখন রকেট আছড়ে পড়েছিল সেই সময় স্টেশনে হাজার হাজার মানুষ ছিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এই হামলার পরে রাশিয়াকে ‘সীমাহীন শয়তান’ বলে আক্রমণ করেছেন। তাঁর কথায়, ”ওরা সুপরিকল্পিত ভাবে একটা সভ্যতাকে ধ্বংস করছে। এটা সীমাহীন শয়তানি। ওদের শায়েস্তা না করতে পারলে ওরা থামবে না।”
কয়েক দিন আগে রুশ বর্বরতার ভিডিও দেখিয়ে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে রাশিয়াকে (Russia) বহিষ্কারের দাবি তোলেন জেলেনস্কি। যাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপে বাধা দিতে না পারে নিরাপত্তা পরিষদের এই স্থায়ী সদস্য দেশটি। এরপরই তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন। না পারলে সবাই মিলে ইস্তফা দিয়ে রাষ্ট্রসংঘ ভেঙে দিন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে প্রবেশ করে রুশ ফৌজ। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে ভয়ংকর লড়াই। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, হয়তো সহজেই পুতিন বাহিনী দখল করে নেবে কিয়েভ। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে তত প্রতিরোধ মজবুত করেছে ইউক্রেন। এখনও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।