সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিষিদ্ধ করে দেওয়া হতে পারে পাকিস্তান তেহরিক-ই- ইনসাফ (PTI), সরকারের তরফে এই ঘোষণার পরেই ইমরান খানের (Imran Khan) দল থেকে পদত্যাগ করছেন একের পর এক নেতা। বুধবারেই পিটিআই শীর্ষ নেতা ফাওয়াদ চৌধুরি দল ছেড়েছিলেন। পরের দিনই একসঙ্গে পদত্যাগ করেন আরও তিন নেতা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, দল ছাড়ার পর সকলেই ৯ মের হিংসার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। প্রসঙ্গত, বুধবারই পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ ঘোষণা করেন, ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
এই ঘোষণার খানিকক্ষণ পরেই দল ছাড়েন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন মন্ত্রী ফাওয়াদ। ৯ মের হিংসার ঘটনায় তিনিও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। দল ছাড়ার কথা টুইট করে তিনি বলেন, “গত ৯মের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আগেই বিবৃতি দিয়েছি। তবে এবার আমি রাজনীতি থেকে বিরতি নিতে চাই। দলের সমস্ত পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। ইমরান খানের সঙ্গেও আর পথ চলা হবে না।” প্রায় একই সময়ে ইস্তফা দেন ইমরানের মন্ত্রিসভার শিরিন মাজারিও। তিনিও একই ধাঁচে পিটিআই সমর্থকদের আচরণের প্রতিবাদ করেন। যদিও শিরিন বলেন, পারিবারিক কারণেই রাজনীতি ছাড়ছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টের রস্টারে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চেই, বাড়তি দায়িত্ব অমৃতা সিনহাকে]
এই ঘটনার পরের দিনই একসঙ্গে দল ছাড়েন পিটিআইয়ের তিন নেতা-নেত্রী। গ্রেপ্তারির পর জামিন পেয়েই সাংবাদিক সম্মেলনে মালিকা বোখারি বলেন, “পাকিস্তানি হিসাবে ৯মের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আপাতত রাজনীতি ছেড়ে দেব। আইনজীবী হিসাবে সদর্থক ভূমিকা পালন করতে চাই। সেই সঙ্গে পরিবারকেও সময় দেব।” একই দিনে দল ছাড়েন সস্ত্রীক ওমর সরফরাজ চিমাও। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কর্মীরা যদি হিংসাত্মক হয় তার দায় নিতে হবে দলকেই।
ইমরান খানের গ্রেপ্তারির পর থেকেই দেশটিতে কার্যত গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাঁর দল পিটিআই-কে নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ইমরান লেখেন, ‘প্রায় ৭ হাজার পিটিআই সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হিংসার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে তা তদন্ত না করেই আমাদের সমর্থক, নেতৃত্ব এবং মহিলাদের জেলে ঢোকানো হয়েছে।” নিষিদ্ধ হওয়ার আগেই যেভাবে পদত্যাগ করছেন পিটিআই নেতারা, তার জেরে প্রশ্ন উঠছে ইমরানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েই।