সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডার হাসপাতালে কার্যত বিনা চিকিৎসাতে মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয় যুবকের! এমনই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিতর্ক বাড়ালেন মার্কিন আইনজীবী তথা ইনফ্লুয়েন্সার অ্যান্ড্রু ব্রাঙ্কা। বিদ্রুপ করে তিনি বলেন, “উনি মুম্বইতেই থাকতে পারতেন।”
৪৪ বছরের ওই ভারতীয়র নাম প্রশান্ত শ্রীকুমার। সম্প্রতি বুকে ব্যথা অনুভব করার পর কানাডার গ্রে নানস কমিউনিটি হাসপাতালে হাজির হন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এমার্জেন্সি রুমের ওয়েটিং এরিয়ায়। সেখানেই ৮ ঘণ্টা রাখা হয় তাঁকে। অভিযোগ, এই দীর্ঘ সময়ে সামান্য টাইলেনল দেওয়া এবং একবার ইসিজি করা ছাড়া আর কোনওরকম চিকিৎসাই পাননি তিনি। তাঁকে হাসপাতালের তরফে বলা হয়, ইসিজি রিপোর্টে কিছু পাওয়া যায়নি। এর কিছুক্ষণ পরই তাঁর মৃত্যু হয়।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই তা নিয়ে মুখ খোলেন অ্যান্ড্রু। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, 'ওই যুবক এবং তাঁর স্ত্রী মুম্বইতেই থাকতে পারতেন। কানাডার নোংরা হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ভারতের কোনও নোংরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হতে পারতেন।' এরপরই তিনি ১৯৫২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কানাডায় অভিবাসীদের সংখ্য়া বৃদ্ধির খতিয়ান তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, সমাজমাধ্যমের পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়, অ্যান্ড্রু ভারত-বিদ্বেষী। অধিকাংশ পোস্টেই তিনি ভারতের বিরুদ্ধে বিষ ঢেলে দিয়েছেন।
অন্যদিকে, শ্রীকুমারের স্ত্রী নীহারিকা বলেন, "ও দুপুর ১২.২০টা থেকে রাত প্রায় ৮.৫০ পর্যন্ত ট্রায়েজে বসেছিল। বুকে অবিরাম ব্যথা হচ্ছিল। রক্তচাপও ক্রমাগত বাড়ছিল। শেষ রেকর্ড করা রক্তচাপ ছিল ২১০! অথচ বলা হল, কেবল বুকের ব্যথাকে কোনও তীব্র সমস্যা হিসেবে গণ্য করা হয় না। হার্ট অ্যাটাকের কোনো আশঙ্কা করছেন না তাঁরা। বলতে গেলে গ্রে নানস কমিউনিটি হাসপাতালের কর্মচারী ও হাসপাতাল প্রশাসন আমার স্বামীকে হত্যা করেছে।”
