বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: গোয়ার (Goa) আটজন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলেন। বুধবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত ও গোয়ার স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেস বিধায়করা। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিলেন তাঁরা। মাস দুয়েক আগেও একইভাবে কংগ্রেস বিধায়কদের বিজেপিতে চলে যাওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বের তৎপরতায় তখনকার মতো দলবদল স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার (Bharat Jodo Yatra) মধ্যেই একসঙ্গে এতজন বিধায়ক দল ছাড়লে অস্বস্তিতে পড়বে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেও একই ভাবে ১০ জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
জুলাই মাসের শুরুর দিকেও গুঞ্জন শুরু হয়, একসঙ্গে আটজন কংগ্রেস বিধায়ককে (Congress MLA) বিজেপিতে যোগদান করানোর পরিকল্পনা চলছে। একাধিক সংখ্যায় বিধায়ক যোগদান করলে দলত্যাগ বিরোধী আইনের অভিযোগ উঠবে না বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই সময় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বিশেষ দূত পাঠিয়ে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেন। সাময়িকভাবে দলবদলে ইতি টানেন গোয়ার কং বিধায়করা।
[আরও পড়ুন: ‘হিন্দু মানেই শূদ্র, পতিতার সন্তানের মতো’, DMK নেতা এ রাজার মন্তব্যে বিতর্ক]
সেই সময় শোনা গিয়েছিল, বিধায়কদের দলে টানতে ১৫-২০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিজেপি। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ২০ জন বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন। কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১১জন। যদি একসঙ্গে ৮ জন বিজেপিতে চলে যান, নিঃসন্দেহে চাপে পড়বে কংগ্রেস।
দলবদলের কথা শুনেই গোয়ার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিক্ষুব্ধ নেতা মাইকেল লোবোকে। দু’জন বিধায়কের পদ খারিজ করে দেওয়ার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছিল কংগ্রেস। তবে পরবর্তীকালে সোনিয়ার দূতের সঙ্গে বৈঠকের পরে মাইকেল লোবো পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস ছাড়ার কথা ভাবছেন না তিনি।
কিন্তু দু’মাস কাটতেই কার্যত ভোল পালটে ফেলেছেন তিনি। বিজেপি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিজেপিতে যোগ দেবেন সস্ত্রীক মাইকেল। সেই সঙ্গে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাতও বিজেপিতে যোগ দেবেন। শোনা গিয়েছিল, মাস দুয়েক আগে বিধায়কদের ভাঙাতে চেষ্টা ব্যর্থ হলেও হাল ছেড়ে দেয়নি বিজেপি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, আবারও দলবদল করাতে ঝাঁপাবে গেরুয়া শিবির। সেই জন্যই কামাতের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখেছিল বিজেপি।