কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: প্রেম প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি মেয়েটা। সেটাই ছিল তার ‘অপরাধ’। আর তার জেরেই আক্রোশ বাড়তে থাকে যুবকের। শেষ পর্যন্ত নির্মম পরিণতি হল কলেজছাত্রীর। গলা কেটে নিজের হাতে তরুণীকে খুন করল যুবক। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) দৌলতাবাদ থানার সলুয়া মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপরাধ কবুলও করেছে সে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওয়াসিম রেজা নামে স্থানীয় ওই যুবক বেশ কয়েকদিন ধরে মুর্শিদা খাতুন ওরফে রোজা নামে কলেজছাত্রীকে প্রেম প্রস্তাব দিত। উত্যক্ত করত সে। তবে ওয়াসিমের প্রেম প্রস্তাবে কোনওদিনই সাড়া দেননি মুর্শিদা। তার ফলে ওয়াসিমের আক্রোশ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তার জন্য এমন কাণ্ড যে ঘটতে পারে, তা ভাবতে পারেননি কেউই। শনিবার রাতে কলেজছাত্রী তাঁর মা এবং মামাতো বোনের সঙ্গে নিজের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় ঘরে ঢুকে পড়ে ওয়াসিম। ধারাল অস্ত্র দিয়ে মায়ের পাশে শুয়ে থাকা মুর্শিদার উপর নির্মম অত্যাচার করে। গলা কেটে দেয়। চিৎকার করতে থাকেন মুর্শিদা। তাতেই ঘুম ভেঙে যায় কলেজছাত্রীর মা এবং মামাতো বোনের। ঘুম থেকে উঠে তাঁরা দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে মুর্শিদার গোটা শরীর। আর একজন যুবক দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে ‘সেফ হোম’ বেশ উপযোগী, বাংলার প্রশংসায় কেন্দ্র]
চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। তবে মুর্শিদা আর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় দেননি। তার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। দৌলতাবাদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মুর্শিদার দেহ উদ্ধার করা হয়। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের দাবি, প্রেম প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি বলেই এমন নৃশংসভাবে তাঁকে খুন করল ওয়াসিম। দৌলতাবাদ থানায় ওয়াসিমের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন নিহতের পরিজনেরা। ঘটনার পর থেকে এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়েছিল ওয়াসিম। তবে কলেজছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর পুলিশ ওয়াসিমকে পাকড়াও করে। প্রথমে খুনের কথা অস্বীকার করেছিল সে। যদিও পরে পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত নিজের দোষ কবুল করে বলেই জানান জেলা পুলিশ সুপার সবরী রাজকুমার।
[আরও পড়ুন: বাঁশ-দা দিয়ে নৃশংস অত্যাচার, বাংলাদেশি পাচারকারীদের হামলায় জখম ৩ বিএসএফ জওয়ান]
The post প্রেম প্রস্তাবে ‘না’, মায়ের পাশে ঘুমন্ত অবস্থায় কলেজছাত্রীকে খুন করল যুবক appeared first on Sangbad Pratidin.