অর্ণব আইচ: স্বামী লাগাতার ধর্ষণ করে চলেছেন এক মহিলাকে, সেই ভিডিও তুলে রাখছেন স্ত্রী। মুম্বইয়ের এক মহিলার যৌন নিগ্রহের পর তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডের হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল। তার সঙ্গে চলত ব্ল্যাক ম্যাজিকও। এভাবে টানা ৬ বছর ধরে ওই মহিলার কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা তোলাবাজি ও প্রতারণা করে ওই দম্পতি। কিন্তু গত বছর যখন মহিলার কিশোরী কন্যাকে একইভাবে নিগ্রহের চেষ্টা হয়, তখনই রুখে দাঁড়ান মহিলা। তিনি মুম্বইয়ের নাগপাড়া স্টেশনে দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মুম্বই পুলিশের তাড়া খেয়ে অভিযুক্ত দম্পতি পালিয়ে আসে কলকাতায়। মধ্য কলকতার নিউ মার্কেট এলাকায় দু’টি আলাদা হোটেলে থাকতে শুরু করে দু’জন। নিউ মার্কেট থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে মুম্বই পুলিশ গ্রেপ্তার করল সৈয়দ ইউসুফ জামাল ও তার স্ত্রী নাজ সৈয়দকে।
মুম্বই পুলিশের কাছে দম্পতির দাবি, তারা ব্ল্যাক ম্যাজিক ও ‘ভুডু’র বিভিন্ন ক্রিয়ার জন্য এই যৌন নিগ্রহ করত। ধৃত দম্পতির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অস্বাভাবিক যৌনতা, তোলাবাজি, প্রতারণা, ভয় দেখানো, ব্ল্যাক ম্যাজিক ও সেই সংক্রান্ত অস্বাভাবিক আচরণের অভিযোগ দায়ের হয়। শনিবার গ্রেপ্তারির পর দম্পতিকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
[আরও পড়ুন: বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচায় হবু বরের থাপ্পড়! প্রতিবাদে তুতো ভাইয়ের গলাতেই মালা দিলেন তরুণী]
লোকলজ্জার ভয়ে তিনি এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারতেন না। ৬ বছর ধরে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরও থামেনি সে। মহিলার কিশোরী মেয়েকেও এই কুকাজে নিযুক্ত করার চেষ্টা করে ওই দম্পতি। তখনই মহিলা রুখে দাঁড়ান। তিনি নাগপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করতেই কলকাতায় পালিয়ে আসে দম্পতি। নিউ মার্কেট এলাকার আলাদা হোটেলে থাকতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত টাকার অভাব দেখা দিলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ও সিমকার্ড পালটে পরিচিতদের ফোন করতে থাকে তারা। সেই সূত্র ধরেই মুম্বই পুলিশ কলকাতায় আসে। কলকাতা পুলিশের সাহায্যে খোয়াই লেনের একটি হোটেল থেকে ইউসুফ ও অন্য একটি হোটেল থেকে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।