সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোনের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে চেয়ে অন্তর্বর্তী জামিন চেয়েছিলেন ২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে উত্তর-পূর্ব দিল্লি দাঙ্গার (Delhi riots) অন্যতম যড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত উমর খালিদ (Umar Khalid)। এদিন দিল্লির আদালত ৭ দিনের জামিন দিল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jawaharlal Nehru University) প্রাক্তন ছাত্রনেতাকে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারকের নির্দেশে আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ দিন অন্তবর্তী জামিনে থাকবেন উমর।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ২০২০ সালের দিল্লিতে দাঙ্গার সময় পাথর ছোড়ার মামলায় প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদকে মুক্তি দিয়েছে দিল্লির করকরদুমা আদালত। তাঁর সঙ্গে ছাড়া পেয়েছেন আরও এক প্রাক্তন ছাত্রনেতা খালিদ সইফি (Khalid Saifi)। এরপরেও অবশ্য দিল্লি দাঙ্গার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে অভিযুক্ত খালিদ জেলেই থাকছেন। ছাড়া পাননি সইফিও। যেহেতু দু’জনের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (UAPA)-এ রুজু করা মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। এর মধ্যেই বোনের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন উমরের আইনজীবী। সোমবার সেই আবেদন মঞ্জুর করল আদালত। বিচারকের নির্দেশ মেনে ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলমুক্ত হবেন প্রাক্তন ছাত্রনেতা।
[আরও পড়ুন: ১১ মাসে সর্বনিম্ন, খুচরো পণ্যের মৃল্যবৃদ্ধির হার ৫.৮৮ শতাংশ, কতটা স্বস্তির?]
একটি এফআইআর-এ উমর খালিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল দিল্লি দাঙ্গার মতো বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিলেন উমররা। যদিও উমরের গ্রেপ্তারির বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছিল। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, মোদি সরকারের এনআরসি (NRC) এবং সিএএ (CAA) বিরোধী আন্দোলনে যোগদান করেছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা। সেই কারণেই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ। এই কারণেই উমর-সহ অন্য ছাত্র নেতাদের নাম দিল্লির দাঙ্গার ঘটনায় যোগ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ছয় সপ্তাহ হাজিরা দিতে পারব না’, ‘মাছ’ মন্তব্যে পুলিশি সমনের উত্তর পরেশ রাওয়ালের]
বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকেই জেলে বন্দি রয়েছেন উমর খালিদ। গত দু’বছরে একাধিক বার তাঁর দিকে মামলা ঝুঁকলেও জামিন পাননি। অবশেষে ৩ ডিসেম্বরে নাশকতার অভিযোগ থেকে মুক্ত হন তিনি ও তাঁর অন্য বন্ধুরা। যদিও অন্য একটি মামলার কারণে জেলমুক্ত হননি। যদিও এবার অন্তবর্তী জামিন পাচ্ছেন খালিদ।