বাবুল হক, মালদহ: কলকাতার পর এবার মালদহ (Maldah)। গ্রেপ্তার ভুয়ো পুলিশ আধিকারিক। পুলিশ আধিকারিক সেজে মোবাইল, টাকাপয়সা ছিনতাইও করে সে। প্রতারিতদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছিনতাই হওয়া সামগ্রীর খোঁজেও চলছে তল্লাশি। ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। ধৃত যুব তৃণমূল নেতা বলেই দাবি বিজেপির। যদিও মুখে কুলুপ এঁটেছে ঘাসফুল শিবির।
শুক্রবার গভীর রাতে বেঙ্গালুরু থেকে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করে মালদহ টাউন স্টেশনে পৌঁছয় উত্তর দিনাজপুরের পাঁচজন ঠিকা শ্রমিক। স্টেশনে নেমে শহরের রথবাড়ি মোড়ে বাস ধরতে আসছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, সেই সময় প্রিয়ার্ঘ সাহা নামে ওই যুবক নিজেকে ইংরেজবাজার থানার সাব ইনস্পেক্টর পরিচয় দিয়ে তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশির নামে সে ঠিকা শ্রমিকদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ও কয়েক হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
[আরও পড়ুন: Gangasagar মেলার আগেই সাগর ব্লকে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ, বদ্ধপরিকর দঃ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন]
ওই ভুয়ো পুলিশ আধিকারিকের (Fake Police Officer) সঙ্গে আরও একজনও ছিল। পরে ওই ঠিকা শ্রমিকরা ইংরেজবাজার থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন। জানা যায় প্রিয়ার্ঘ সাব ইনস্পেক্টর নয়। এরপরই পুলিশ প্রিয়ার্ঘ সাহাকে গ্রেপ্তার করে। জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজরিয়া জানান, “একটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়েছি। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
আর এই ঘটনাকে ঘিরেই মালদহের রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল। গেরুয়া (BJP) শিবিরের দাবি, প্রিয়ার্ঘ এলাকায় উঠতি দাপুটে যুব তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত। এ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল জানান, “এ রাজ্যের তৃণমূল (TMC) নেতারা এত নিচে নামবে তা ভাবা যায় না। এই চিত্র এখন রাজ্যের সর্বত্র। যে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাকে জেলা থেকে রাজ্য বহু তাবড় তাবড় তৃণমূল নেতার সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছে। এই ধরণের অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ বিষয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করতে চাননি।