সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীর অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এই সন্দেহে শেষ পর্যন্ত ভরা বাজারেই স্ত্রীকে কুপি খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দিল্লির (Delhi) রোহিনি এলাকায় শনিবারের ঘটনা। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম হরিশ মেহেতা (৪০) এবং তাঁর মৃত স্ত্রী নাম নীলু (২৬)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত হরিশ একটি ম্যারেজ ব্যুরোতে (যে সংস্থা বিবাহ ইচ্ছুকদের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দেয়) কাজ করত। বাড়ি গুজরাটের রাজকোটে। একটি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের মাধ্যমে হরিশ ও নীলুর পরিচয় হয়। এরপর সম্প্রতি তাঁরা বিয়েও করেন। নীলু একটি সরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন। বিয়ের পর হরিশ চাইত, কাজ ছেড়ে নীলু সংসার দেখাশোনা করুন। কিন্তু নিজের কাজ ছাড়তে রাজি ছিলেন না নীলু। তাই নিয়ে নিত্যদিন তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত।
[আরও পড়ুন: ৬ বছরের নাতনিকে ধর্ষণ! মুখ বন্ধ রাখতে ২০ টাকা হাতে ধরাল অভিযুক্ত দাদু]
সংবাদ সংস্থা পিটিআই পুলিশের বক্তব্য তুলে ধরে জানিয়েছে, বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই হরিশ সন্দেহ করতে শুরু করে তাঁর স্ত্রীর অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই হরিশকে ছেড়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নীলু। এই ঘটনা আরও ক্ষোভ তৈরি করে হরিশের মনে। তারপর হরিশ স্ত্রী নীলুকে খুনের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মতো শনিবার দুপুরে নীলু কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বুদ্ধ বিহার এলাকায় জনসমক্ষে ধারাল ছুরি দিয়ে একের পর এক কোপ মারে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন নীলু। সেখানে উপস্থিত কেউ কেউ ক্যামেরাবন্দি করেন ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাস্তায় পড়ে থাকা নীলুর শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। নীলুকে উদ্ধার করে সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় হরিশ। পরে পুলিশ তাকে খুঁজে বার করে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বিজয় বিহার থানায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।