মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বউদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল স্বামী। প্রতিবাদ করায় চরম পরিণতি বধূর। ঘর থেকে উদ্ধার দেহ। অভিযোগ, খুন করা হয়েছে বধূকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার জগৎবল্লভপুরের সন্তোষপুরে। গ্রেপ্তার মৃতার স্বামী ও বউদি।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম দিপালী মাঝি। বয়স ২৪ বছর। তাঁর স্বামী প্রত্যুষ মাঝি। জগৎবল্লভপুরের সন্তোষপুরের বাসিন্দা তাঁরা। শনিবার সকালে বধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা জানতে পারেন তাঁর মৃত্যুর খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিবারের সদস্যরা দাবি করে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে দিপালীকে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতিবেশীরা। ব্যপক ভাঙচুর করা হয় মৃতার শ্বশুরবাড়িতে। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। গ্রেপ্তার করা মৃতার স্বামী ও দুই বউদিকে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে বসানো হয়েছে পিকেট।
[আরও পড়ুন: ‘মানুষের ক্ষোভ আমাদের আশীর্বাদ’, দিদির দূতেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নিয়ে পালটা অভিষেকের]
কিন্তু কেন খুনের অভিযোগ? মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, মেজ বউদি অনিমা মাঝির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল প্রত্যুষের। কোনওক্রমে তা জানতে পেরে যান দিপালীদেবী। তা নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত্র। বরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত দম্পতির মধ্যে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে অশান্তি চরমে ওঠে। অভিযোগ, অশান্তির জেরে মারধর করা হয় দিপালীকে। বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, সেই সময়ই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বধূকে। ইতিমধ্যেই দিপালীর স্বামী প্রত্যুষ মাঝি এবং তাঁর দুই জা অনিমা মাঝি এবং আশা মাঝির বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।